সংক্ষিপ্ত
গোটা রাজ্য দোল উৎসবে মেতে উঠলেও, একটা বিষণ্ণতা কুরে কুরে খেয়ে ফেলছে ঝালদাকে। সেখানে কেউই নতুন রঙে রাঙতে রাজি নন। তাঁদের প্রিয় কাউন্সিলরের মৃত্যু যেন ভিতর থেকে শেষ করে ফেলেছে তাঁদের।
গোটা রাজ্য মেতেছে দোল উৎসবে। নতুন রঙের ছোঁয়ায় রেঙে উঠেছে চারপাশ। তবে রঙিন রাজ্যে বেরঙিন হয়ে পড়ে রয়েছে ঝালদা (Jhalda in Purulia)। যখন গোটা রাজ্য নতুন রঙের চাদরে ঢেকে গিয়েছে, তখন সেই চাদরকেই নিজেদের শরীর থেকে তুলে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে ঝালদাবাসী। দেখতে দেখতে কেটে গেছে ৫টা দিন। ঝালদা পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুন করেছে কিছু দুষ্কৃতি। তাও আবার সর্ব সম্মুখে। এ যেন গুন্ডারাজ!
কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যার পর থেকেই শোক এবং আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে ঝালদা জুড়ে। আর সেই শোকই যেন বেরঙিন করে তুলেছে সেখানকার মানুষদের জীবন। আজ গোটা রাজ্য দোল উৎসবে মেতে উঠলেও, একটা বিষণ্ণতা কুরে কুরে খেয়ে ফেলছে ঝালদাকে। সেখানে কেউই নতুন রঙে রাঙতে রাজি নন। তাঁদের প্রিয় কাউন্সিলরের মৃত্যু যেন ভিতর থেকে শেষ করে ফেলেছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ঝালদায় সন্ধ্যা নাগাদ রাস্তায় আততায়ীদের হাতে খুন হন তপনবাবু। ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে তোলাপাড় রাজ্য রাজনীতি। গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হয়েছে শাসক দল। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ঝালদা কাউন্সিলরের মৃত্যুতে উঠে এসেছে নয়া মোড়। নিহত কাউন্সিলার তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর মোবাইল ফোন সিজ করল ঝালদা থানার পুলিশ।এই ফোন থেকেই ঝালদা থানার আই সির সাথে কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে।তদন্তের জন্যই এই ফোন পুলিশ সিজ করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় অশান্তি পাকাতে মমমতাই উষ্কানি দিচ্ছেন, ফের চাঁচাছোল আক্রমণে শুভেন্দু
আরও পড়ুন- ৪ রাজ্যে বড় জয়ের পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি, কেন এমন বললেন মমতা
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুর হত্যার পরে তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর সাথে ঝালদা থানার আই সির মোবাইল ফোনের কথোপকথন অডিও ভাইরাল হয়। যদিও এই অডিওর সত্যতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।যদিও মিঠুন কান্দু অবশ্য স্বীকার করেছেন ভাইরাল হওয়া এই অডিও তার এবং ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষের।ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষ তার কাকা তপন কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার ফোন করেছে যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠুন কান্দু।