
ভারতে কোটি কোটি গ্রাহকের মধ্যে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠতেই বাজার কেড়ে নিয়েছিল দশেরও বেশি টেলিকম অপারেটর সংস্থা। তবে, মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও আসার পরে অনেকগুলিরই ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি টেলিকম অপারেটর একটির সঙ্গে অপরটি জুড়ে গিয়ে যুগ্মভাবে ব্যবসা করছে। এই অবস্থায় আবার ভারতের টেলিকম শিল্পের জন্য একটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে TRAI-এর একটি সাম্প্রতিক তথ্য।
রিলায়েন্স জিওর আগমনের পর দেশের অধিকাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী জিও কানেকশন ব্যবহার করতে শুরু করেন। এর ফলে অন্যান্য টেলিকম অপারেটরগুলি ক্রমাগত গ্রাহক সংখ্যা হারাতে থাকে। এই অবস্থায় নয়া রিপোর্টের দ্বারা জানা গেছে যে, গত বছর অক্টোবর মাসে এক ধাক্কায় ১.২ মিলিয়ন (১২ লক্ষ ) সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে গেছে এয়ারটেল থেকে। এর ফলে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৭৬.১৫ মিলিয়ন (প্রায় ৩৭ কোটি ৬১ লাখ) থেকে কমে নেমে গেছে ৩৭৪.৯৬ মিলিয়নে (প্রায় ৩৭ কোটি ৪৮ লাখ)।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রিলায়েন্স জিও যোগ করতে পেরেছে ১.৮৪ মিলিয়ন (প্রায় ১৮ লক্ষ) গ্রাহক। সস্তায় ইন্টারনেট প্ল্যান, অত্যন্ত কম দামের জিও ভারত ৪ জি হ্যান্ডসেট, বেটার কভারেজের জন্য মনে করা হচ্ছে বহু গ্রাহক বেছে নিয়েছেন রিলায়েন্স জিওকে। রিপোর্ট বলছে বহু মাস পর ভোডাফোন আইডিয়া ০.৪ মিলিয়ন গ্রাহক যুক্ত করতে পেরেছিল সেপ্টেম্বর মাসে।
ভোডাফোন আইডিয়া তারপর হারিয়েছে ১.৪১ মিলিয়ন সক্রিয় গ্রাহক। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এয়ারটেলের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৩৭৪.৯৬ মিলিয়নে। সেই বছরই সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭৬.১৫ মিলিয়ন। অন্যদিকে, রিলায়েন্স জিও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ৪২২.১১ মিলিয়নে।