আগামিকাল, পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল। দেশের রাজনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে এই ফলের ওপর। সেই ফলের আগে কর্ণাটকে ধাক্কা খেল বিজেপি। দক্ষিণ ভারতের বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের শহরাঞ্চলের স্থানীয় ভোটে ভাল ফল করল কংগ্রেস। গত ২৭ এপ্রিল রাজ্যের যে দশটা পুরসভায় ভোট হয়েছিল সেখানে সাতটিতে জিতল কংগ্রেস, বিজেপি মাত্র একটিতে। রাজ্যে বিজেপি-র দুর্গ যে দুটি জায়গাকে মনে করা হয়, সেই বাল্লেরি এবং তারথাহেল্লিতে জিতে চমকে দিল কংগ্রেস। ১০টা জায়গার সব আসনে মিলিয়ে কংগ্রেস জিতল ১১৯টি, জেডি (এস) জেতে ৬৭টি। সেখানে তিন নম্বরে চলে যাওয়া বিজেপি জেতে ৫৪টি আসনে।
আরও পড়ুন: লকডাউন আরও বাড়ুক চাইছে দিল্লি, তবে 'অন্য মডেলে' - বাংলা কি করবে অনুসরণ, দেখুন
আরও পড়ুন: রাজ্য়ে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল বিরোধীরাও, কোভিডে গণনাকেন্দ্রে কড়া কমিশন
কর্ণাটক বিজেপির মুখ তথা মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা যে রাজ্যের বাসিন্দা সেইখানেও বিজেপি হেরে গিয়েছে। ভদ্রাবতী ও তীরথালির মত টাউন পঞ্চায়েতে কংগ্রেস জিতেছে। বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি-র মন্ত্রী, প্রাক্তন সাংসদের আত্মীয়রাও হেরে গিয়েছেন। তবে মাদেকেরি পুরসভায় ২৩টির মধ্যে ১৬টি আসনে জিতে বিজেপি সাত বছর পর ক্ষমতায় এল। আম আদমি পার্টি-র প্রার্থী বিদার পুরসভার একটি আসনে জিতে কর্ণাটকে আপ-র খাতা খুলল।
আরও পড়ুন: মাছ বিকোতে খসল মাস্ক, বাজার বন্ধে মাইকিংয়েও হল না কাজ, শেষে লাঠি উঁচিয়ে ধমক পুলিশের
২০১৯ লোকসভার পর কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে ভেঙে অনেক নাটকের পর কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেই কর্নাটকের শহরাঞ্চলগুলিতে এই ভোট হয়। বিরোধীদের দাবি, বিজেপি-র বড় হারের পিছনে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড সামালতে না পারার ব্যর্থতা। কর্ণাটক বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ওপর আস্থা হারিয়েছে রাজ্যের মানুষ, সেটা এই ভোটের ফলেই পরিষ্কার। এটা করোনায় মানুষের পাশে না থাকার ফল। মানুষের জীবন নিয়ে খেললে ভোটে জেতা যায় না।"