দুটি হাতিকে নিজের সব জমি দান করলেন হস্তিপ্রেমী, এখন পরিবারের হাতেই না খুন হতে হয়

কেরলের হাতি হত্যা কষ্ট দিয়েছিল গোটা দেশকে

এবার একটা ভালো খবর এল বিহার থেকে

এক ব্যক্তি তাঁর সমস্ত জমি দান করলেন দুটি হাতিকে

কিন্তু তারপর পরিবারের হাতেই খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন ওই পশুপ্রেমী

 

কেরলের হাতি হত্যার ঘটনার পর, গত কয়েকদিনে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে পশুর উপর নিষ্ঠুরতার বেশ কিছু খবর সামনে এসেছে। কোথাও ফাঁদে পড়া চিতাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, কোথাও বাজি ভরা মাংস খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে শিয়ালকে, কোথাও বা কুকুরের মুখ বেঁধে রেখে না খেতে দিয়ে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। এইসব খবরের মধ্যেই টাটকা বাতাসের মতো একটি খবর এল বিহার থেকে। সেখানকার এক পশুপ্রেমী তাঁর মালিকানায় থাকা সমস্ত জমি দান করলেন দুটি হাতিকে। কিন্তু এই জমিদানের জন্য তাঁর পরিবারের লোকের হাতেই তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন ওই ব্যক্তি।  

পাটনার কাছেই ফুলওয়ারী শরীফ এলাকার জানিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আখতার। বছর ৫০-এর এই ব্যক্তির দুটি পোষা হাতি আছে। ২০ বছরের মতি এবং ১৫ বছরের রানি তাঁর সঙ্গেই থাকে। তাঁর পরিবারে বরাবরই হাতি রয়েছে। তাঁর বাপ-ঠাকুর্দারা যে হাতি পুষতেন, তাদেরই বংশধর মতি এবং রানী। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে তারা আখতারের পরিবারেরই সদস্য। বরং পারিবারিক সদস্যদের থেকেও আখতারের নিকটজন।

Latest Videos

সম্প্রতি তিনি উইল করে তাঁর ৬.২৫ একরের জমি লিখে দিয়েছেন মতি ও রাণীর নামেই। তাঁর মৃত্যুর পর যাতে তাদের খাদ্যের অভাব না হয়, তার জন্যই তিনি এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন আখতার। তবে তারপর থেকেই প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন আখতার। তাঁর অভিযোগ, তাঁর আপন পারিবারিক সদস্যদের একাংশের দিকেই। তাঁর মতে পরিবারের কয়েকজন সদস্য, পশু পাচারকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে হত্যা করে হাতিদুটি বিক্রির চেষ্টা করছেন।

কোনও আকাশকুসুম আশঙ্কা তিনি করছেন না। বস্তুত, এরমধ্যে একবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু, সঙ্গে মতি থাকাতে সেই যাত্রা তিনি বেঁচে গিয়েছেন। আখতার জানিয়েছেন, মতিকে নিয়ে কিছুদিন আগে ভোজপুর জেলার শাহপুর অঞ্চলে গিয়েছিলেন। সেখানে একদিন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মতির গর্জনে জেগে উঠেছিসলেন। তাকিয়ে দেখেন জানলার বাইরে থেকে একজন তাঁর দিকে বন্দুক তাগ করছে। সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন। এরপরই তিনি তার পরিবারের সদস্যরা তাঁর প্রাণহানি করতে পারে, এই অভিযোগ করে ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন এবং পাটনা থানার প্রধান, দুজনকেই চিঠি দিয়েছেন।

তবে নিজের জীবনের থেকেও আখতার বেশি চিন্তিত হাতিদের ভবিষ্যত নিয়ে। এশিয়ান এলিফ্যান্ট রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অ্যানিমেল ট্রাস্ট বা এইআরওএটি নামে একটি এনজিও চালান তিনি। তাঁর আশঙ্কা সরকার যদি হাতি সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেয় তবে ভবিষ্যতে হাতিদের দেখতে হবে শুধুমাত্র বইয়ের পাতাতেই। হাতিদের খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে বলেই খাবারের সন্ধানে তাদের গ্রামে হানা দিতে হচ্ছে। এই দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।  

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
TMC ছেড়ে কেন BJP-তে শুভেন্দু! আজ নিজেই বলে দিলেন সব | Suvendu Adhikari | Bangla News
ওয়াকফ বিলের (Waqf Bill) আঁচ বাংলার বিধানসভায়, দেখুন কী বললেন Suvendu Adhikari
দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
'আমাদের এখানে কিম জং-য়ের লাইট ভার্সন আছে' Mamata-কে নাম না করে চরম কটাক্ষ Sukanta Majumdar-এর