শোচনীয় অবস্থা দেশের রাজধানীর, খুলেও তাই ফের বন্ধ হচ্ছে জামা মসজিদের দরজা

  • গত ৮ জুন টানা ২ মাস বন্ধ থাকার পর দেশে ধর্মীয় স্থানগুলি খুলেছে
  • কিন্তু দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে 
  • সেই কারণে ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে রাজধানীর জামা মসজিদ
  • ধর্মস্থান খোলার নির্দেশিকা সরকার  পুনর্বিবেচনা করুক মত শাহী ইমামের

Asianet News Bangla | Published : Jun 10, 2020 10:27 AM IST / Updated: Jun 10 2020, 04:00 PM IST


খুশির ঈদে এবার বাধা ছিল করোনা ভাইরাস। তাই ইতিহাসে প্রথমবার ঈদের দিনে খোলেনি দিল্লির জামা মসজিদের দরজা। প্রতিবছর যেখানে ঈদের দিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন নামাজ পড়তে, এবার গোটা চত্বর খা খা করছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। লকডাউন শিথিল করে মানুষকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাচ্ছে সরকার। আর তার অংশ হিসাবেই গত সোমবার থেকে দেশের সমস্ত ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছিল জামা মসজিদের দরজাও।  কিন্তু মহামারী করোনার জেরে রাজধানী শহরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হওয়ায় ফের বন্ধ হতে চলেছে দিল্লির জামা মসজিদ।

জন্মদিনেই করোনা কেড়ে নিল প্রাণ, চলে গেলেন তামিলনাড়ুর ডিএমকে বিধায়ক জে আনবাঝাগন 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা মুক্ত প্রায় ১০ হাজার, এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার

প্রথম শেষ না হতেই দেশে আসছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ, জেনে নিন সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে কোন ১৫টি দেশ

মঙ্গলবার রাতে জিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে জামা মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারির সেক্রেটারি আমানুল্লাহর। তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত ৩ তারিখ আমানুল্লাহর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেক্রেটারির মৃত্যুর পরেই ফের একবার মসজিদ বন্ধ রাখার ইজ্ঞিত দিয়েছেন শাহী ইমাম। বুখারি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রতিক্রিয়া তিনি দেখেছেন তাতে সকলেই মসজিদ বন্ধ রাখার কথা বলছেন। তাই এই সিদ্ধান্তই নিতে চলেছেন তিনি। তবে শাহী ইমাম জানিয়েছেন সামান্য কয়েক জনের জন্য নামাজের অনুমতি থাকবে।

বর্তমানে দিল্লি করোনা সংক্রমণে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১,৩৬৬ জন। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছেষ মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৯০০ জনেরও বেশি। এই অবস্থায় জুলাইয়ের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি সরকার। এই অবস্থায় বাড়িতে থেকেই সকলকে নামাজ পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শাহী ইমাম। তাঁর কথায়, “আমি ছোট ছোট অন্যান্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকেও বলেছি, তাঁরা যেন এই মর্মে বাসিন্দাদের কাছে বাড়িতে নামাজ পড়ার আবেদন রাখেন। যখন দিল্লিতে হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তখন মসজিদে আসার কী প্রয়োজনীয়তা। রমজান ও ঈদের নামাজও লকডাউনের জন্য বাড়িতে পড়েছি, করোনার এই চরম অবস্থাতেও মসজিদ যাওয়ার কোনও মানে হয়না।” 

Share this article
click me!