বিহারে ফের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ফের বিজেপি-র সঙ্গে জোট সরকার গঠনের পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শুক্রবার শপথ নিলেন ২১ জন মন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবীও আছেন। শুক্রবার বিহারের রাজভবনে নতুন মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করেন। যে ২১ জন মন্ত্রীকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল, তাঁদের মধ্যে বিজেপি-র ১২ জন আছেন। বিজেপি নেতা-নেত্রীদের মধ্যে ৬ জন প্রথমবার মন্ত্রী হলেন। রেণু দেবীর মন্ত্রিসভায় প্রত্যাবর্তন তাৎপর্যপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে একইসঙ্গে সরকার ও এনডিএ-কে শক্তিশালী করে তুলতে চাইছেন নীতীশ। সেই লক্ষ্যেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটানো হল।
বিহারের মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন নতুন মুখ
বিহারে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর বিজেপি-র যে ১২ জন জায়গা পেয়েছেন তাঁরা হলেন মঙ্গল পাণ্ডে, অরুণা দেবী, নীরজ বাবলু, নীতীশ মিশ্র, নিতিন নবীন, জনক রাম, কেদার গুপ্ত, দিলীপ জয়সোয়াল, হরি সাহনি, কৃষ্ণ নন্দন পাসোয়ান, সুরেন্দ্র মেহতা ও সন্তোষ সিং। নীতীশের মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন নতুন মুখকে দেখা যাচ্ছে।
বারবার শিবির বদল নীতীশের
২৮ জানুয়ারি নতুন করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নীতীশ। তাঁর দল জেডিইউ-এর সঙ্গে আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। কিন্তু সেই জোট ভেঙে এনডিএ-তে ফেরেন নীতীশ। তিনি দাবি করেন, জনতার কাছে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করা সম্ভব হয়নি। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে মতপার্থক্যও ছিল। ফের এনডিএ-তে ফেরায় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েন নীতীশ। তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে আপাতত বিহারে এনডিএ সরকার থাকছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে জোটে কোনওরকম সমস্যা চাইছেন না নীতীশ। বিজেপি-র পক্ষ থেকেও জোটকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যে কত দফায় ভোট? নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার আগেই মিলল ইঙ্গিত
Electoral Bonds: লোকসভা ভোটে নির্বাচনী বন্ডই অস্ত্র কংগ্রেসের, বিজেপি 'রুখতে' মাত্র ২টি দাবি