কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলে এবার পঞ্জাবের মানুষকে শিখ দাঙ্গার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। ভোটের দুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি তার টুইটার হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
বাকি চার রাজ্যের মতো ভোটের উত্তাপে ফুটছে পঞ্জাবও। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই রাজ্যের ১১৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে বর্তমানে এখানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। যদিও গত কয়েক মাসে পঞ্জাব প্রদেশের কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও একাধিক বড়সড় অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। এবার সেই সুযোগেই ঘুরতে ভোটারদের মন জয় করতে মাঠে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। এদিকে পঞ্জাবের ভোটে আম-আদমির মন জয় করতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ দলের অনেক বড় নেতা নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন। সহজ কথায় পঞ্জাবে ভালো মার্কস পেতে এখন পুরো শক্তি লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে কংগ্রেস বিরোধী প্রচারেও উঠেছে ঝড়।
এমতাবস্থায় কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলে এবার পঞ্জাবের মানুষকে শিখ দাঙ্গার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। ভোটের দুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি তার টুইটার হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই সাড়ে ৫ মিনিটের ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে কিভাবে শিখ দাঙ্গার সময় ওই রাজ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই দাঙ্গার জন্য হরদীপ সিং সরাসরি কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন। এদিন এই ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি টুইট করেছেন, “ ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসের গুন্ডারা নির্লজ্জভাবে হাজার হাজার নিরীহ শিখকে গণহত্যা করেছিল। দলের নেতৃত্ব কয়েক দশক ধরে অপরাধীদের রক্ষা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন।"
আরও পড়ুন- মার্চেই কাশ্মীরে পা রাখছেন মোদী, হাজার কোটির বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, ১৯৮৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পর দেশজুড়ে শিখদের বিরুদ্ধে হিংসা শুরু হয়। এর থেকে বেশি খারাপ প্রভাব পড়েছে দিল্লিতে। এদিকে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ওই সময় গোটা দেশজুড়ে ২৭৩৩ জন শিখকে নিশানা করা হয়েছিল। যারা মারা গিয়েছিলেন। যদিও অসমর্থিত পরিসংখ্যান বলছে দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮৭০ জন। এই মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ সজ্জন কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। যা নিয়ে আজও রাজনৈতিক অস্থিরতা জারি রয়েছে পঞ্জাবে। এমতাবস্থায় বিজেপি-র এই প্রচার যে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে বিশেষ মুখ খুলতে দেখা যায়নি কংগ্রেস নেতৃত্বকে।