৫ বছর পর চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সীমান্তে শান্তির উপর জোর প্রধানমন্ত্রীর

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কৌশলগত বিষয় এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে রাশিয়ার কাজানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানেই তাঁদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল।

২০১৯ সালের অক্টোবরে তামিলনাড়ুর মামল্লাপুরমে সপ্তম শতকে নির্মিত পঞ্চরত্ন স্থাপত্যে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, শুধু আমাদের জনগণের জন্যই নয়, বিশ্ব শান্তি, স্থিতাবস্থা এবং উন্নতির জন্য ভারত-চিন সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর প্রথমবার এই সীমান্তে দুই দেশের সেনা জওয়ানদের টহল শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে সরকার।

নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘দুই রাষ্ট্রনেতা জানিয়েছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতাবস্থা, স্বাভাবিক সম্পর্কের উপর জোর দিতে হবে। দুই প্রতিবেশী দেশ বিশ্বের অন্যতম বড় দেশ। আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি, উন্নতির ক্ষেত্রে দুই দেশের ইতিবাচক প্রভাব থাকবে।’

বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট শি জানিয়েছেন, ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য বিশেষ প্রতিনিধি দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’