রামকিশান চৌহানের বাড়ি উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জের। সে পুনের চিকালি এলাকায় থাকে। স্থানীয়রাই তার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে।
ভয়ঙ্কর ঘটনা পুনেকে। ২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মহিষের বাছুরকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুনের বাসিন্দা মহিষের বাছুরকে ধর্ষণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনা ভইরাল হয়েছে। পুনের চিকালির যাদববাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে ১৮ অগাস্ট থেকে ২ অক্টোহরের মধ্যে ঘটেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তখনই যখন বাছুরের মালিক বাছুরটিকে পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন। মালিক বাছুরটিকে দ্রুত পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। বাছুরের পা বাঁধা অবস্থায় বাছুরকে উদ্ধার করার পরই মালিক গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেন। তখনই তিনি জানতে পারেন এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রামকিশান চৌহান।
রামকিশান চৌহানের বাড়ি উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জের। সে পুনের চিকালি এলাকায় থাকে। স্থানীয়রাই তার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে। তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে রামকিশান চৌহানকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ অর্থাৎ অপ্রাকৃত যৌনতা ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
যৌন নির্যাতিত বাছুরের মালিক গোয়ালঘরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা রেখেছিলেন। তাতেই ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর ঘটনার ছবি। গোয়ালঘরের আলো নিভিয়ে এই ব্যক্তি ধর্ষণ করে। সিসিটিভি ফুটেজের পরবর্তী পরীক্ষায় এক ব্যক্তি মহিষের বাছুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের সাথে জড়িত থাকার কথা প্রকাশ পায়। এই কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তি সিসিটিভি সরঞ্জামগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ এবং বাজেয়াপ্ত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তবে রেকর্ড করা ফুটেজ ইতিমধ্যেই পরিবারের দখলে ছিল। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ। যা দেখে নেটিজেনরাও নিন্দা করেছেন।