বাংলার সঙ্গে তীব্র বিরোধ, তারমধ্যেই আরও তিন রাজ্যে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

Published : Apr 24, 2020, 05:50 PM ISTUpdated : Apr 25, 2020, 03:45 PM IST
বাংলার সঙ্গে তীব্র বিরোধ, তারমধ্যেই আরও তিন রাজ্যে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় দল নিয়ে বাংলার সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ চলছে তারমধ্য়েই ফের আরও তিন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় দল তারমধ্যে একটি বিজেপি শাসিত রাজ্যও রয়েছে এই রাজ্যগুলির পরিস্থিতি বিশেষ গুরুতর বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আন্ত্রঃমন্ত্রক দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রিয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। তারমধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন লঙ্ঘন-সহ আর কী কী গাফিলতি থাকছে, তার মূল্যায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার, শুক্রবার আরও তিনটি রাজ্যে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল। এই রাজ্যগুলি হল গুজরাত, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ু।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এদিন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, গুজরাতের আহমেদাবাদ ও সুরাত, মহারাষ্ট্রের থানে, তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ এবং তামিলনাড়ুর চেন্নাই-এর মতো পূর্বষোষিত এবং নতুন করে উঠে আসা হটস্পট জেলাগুলির পরিস্থিতি 'বিশেষ গুরুতর'। এই এলাকাগুলির পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতেই মোট পাঁচটি আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল বা আইএমসিটি পাঠানো হবে। তারা শুধু পরিস্থিতির মূল্যায়নই করবে না, রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে এবং কেন্দ্রের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। 'জনসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থে'ই এই দল পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।  

মন্ত্রক আরও বলেছে, এই আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলগুলি লকডাউন বিধি, প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ-এ র সম্মতি এবং প্রয়োগের উপর জোর দেবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রস্তুতি, চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষা এবং ভিনরাজ্যের শ্রমিক ও দরিদ্রদের জন্য তৈরি ত্রাণ শিবিরগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখবে।  

লকডাউনে জমিয়ে চলছিল লুডো খেলা, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে এখন হাহুতাশ করছেন ৩১ জন

 

আইসিএমআর-এর অনুমোদন পেল দিল্লি আইআইটি, একধাক্কায় সস্তা হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

বিপর্যয়েও মুসলিম-বিদ্বেষ, দরজা থেকে করোনাযোদ্ধা'কে তাড়িয়ে বিপাকে জাত-জালিয়াত

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল দুটি দল। কলকাতা ও জলপাইগুড়ি দুই জায়গাতেই তিন দিন কাটানোর পর তারা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছ থেকে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ করেছে। সফরের বেশিরভাগ সময়ই, রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি এবং সহায়তার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে।

কেন্দ্রের তরফে বারবারই অভিযোগ করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের মামলার সংক্যা রাজ্যের পক্ষ থেকে কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন শহরে দোকান এবং মানুষকে ভিড় করার অনুমতি দিয়ে লকডাউন গাইডলাইন লঙ্ঘন করছে প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর প্রশাসন সেই অভিযোগ বরাবর উড়িয়ে দিয়েছে। তারমধ্যে, কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে তীব্র বিরোধ বেধেছে। তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা প্রশ্ন তুলেছিলেন গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য, যেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা অনের বেশি সেখানে কেন কোনও দল পাঠানো হল না?

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

২০০১ সংসদ ভবন হামলার ২৫ বছর, একই লাইনে দাঁড়িয়ে মোদী-রাহুলের শ্রদ্ধা নিহতদের
ই-সিগারেট কী? কতটা বিপদ লুকিয়ে রয়েছে? E-Cigarette নিয়েই সংসদে বিতর্ক তৃণমূল-বিজেপির