সংক্ষিপ্ত

লকডাউন চলাকালীন সময় কাটছিল না

তাই আশপাশের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে 'অষ্টা চাম্মা' খেলছিলেন এক মহিলা

কেউ জানতেন না তিনি করোনভাইরাস পজিটিভ

তাঁর মৃত্যুর পর এখন আশঙ্কা ৩১ জনকে নিয়ে

 

লকডাউন চলাকালীন সময় কাটছিল না। তাই আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঘুরে ঘুরে 'অষ্টা চাম্মা' খেলছিলেন এক মহিলা। 'অষ্টা চাম্মা' লুডোর মতো একটি প্রাচীন খেলা। প্রতিবেশীদেরও সময়টা মন্দ কাটছিল না। কিন্তু, এখন এই খেলাই কমপক্ষে ৩১ জনের কাছে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। কারণ, ওই মহিলা, পরে করোনভাইরাস পজিটিভ বলে প্রমাণিত হয়েছেন এবং তাঁর মৃত্যুও ঘটেছে। তেলেঙ্গানার সূর্যাপেট জেলার ঘটনা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই মহিলা তাবলিগি জামাতের দিল্লির সমাবেশে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেই সংক্রামিত হয়েছিলেন। দিল্লির এই সমাবেশ থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মহিলার মৃত্যুর পর, তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার পর ৩১ জন কোভিড-১৯ ইতিবাচক বলে প্রমাণিত হয়েছেন।

বুধবারই 'অষ্টা চাম্মা' খেলা থেকে বিপদ ঘনিয়ে আসার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল। মুখ্যসচিব সোমেশ কুমার, ডিজিপি মহেন্দ্র রেড্ডি, স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ মুখ্যসচিব  শান্তি কুমারী ওই এলাকায় পরিদর্শন করতে গিয়েই এই বিষয়টি জামতে পারেন। সূর্যাপেট জেলায় এখন মোট ইতিবাচক মামলার সংখ্যা ৮৩। তেলেঙ্গানায় বৃহত্তর হায়দরাবাদ জেলার পরই এই জেলায় সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।

বিপর্যয়েও মুসলিম-বিদ্বেষ, দরজা থেকে করোনাযোদ্ধা'কে তাড়িয়ে বিপাকে জাত-জালিয়াত

 

১৫ বছরের প্রেম, নার্সের উদ্যোগে করোনায় মৃত্যুর ঘন্টাখানেক আগে করলেন বিয়ে

করোনা-রহস্য উদঘাটনে আসরে 'ফেলুদা', কাগজ কুচিই জানান দেবে পজিটিভ না নেগেটিভ

তেলঙ্গানায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৫ জন নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে এই রাজ্যে এখন মোট করোনা পজিটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৩। এরমধ্যে ১৯৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এই রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যসচিব। লকডাউনের মধ্যে কীভাবে অষ্ট চাম্মা খেলার সুযোগ হচ্ছে এই নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও।