চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ইদ্রিশ আলি। গত ৬ অক্টোবর তাঁর এক বন্ধুকে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে মাত্র ২০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন। তারপরই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করে দেখেন।
অবাককাণ্ড চেন্নাইতে! বন্ধুকে মাত্র ২০০০ টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে কোটিপতি হয়ে গেলেন চেন্নাইয়ের এক বাসিন্দা। এই ভুতুড়ে কাণ্ডে রীতিমত অবাক হয়েছেন তিনি।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ইদ্রিশ আলি। গত ৬ অক্টোবর তাঁর এক বন্ধুকে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে মাত্র ২০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন। তারপরই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করে দেখেন। তাতেই চোখ চড়ক গাছে! দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে কোটি কোটি টাকা। তিনি জানিয়েছেন ৭৫৩ কোটি টাকা ঢুকেছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তাতেই তিনি রীতিমত অবাক হয়ে যান। রীতিমত অবাক হয়ে ইদ্রিশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানান। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এজাতীয় ঘটনা ঘটেছিল তামিলনাড়ুতে । এক ক্যাব চালকের অ্যাকউন্টে ঢুকেছিল প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা। যদিও প্রথম তিনি টাকা ফেরত দিতে নারাজ ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি টাকা ফেরত দেয়। সেই সময় বলা হয়েছিল ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারপরই তার অ্যাকাউন্ট থেকে অতিরিক্ত অর্থ বার করে নিয়ে নেওয়া হয়।
আরেকটি ঘটনা ঘটেছে থাঞ্জাভুরের গণেসান নামে একজন ব্যক্তিকে, যিনি তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭৫৬ কোটি টাকা এভাবেই পেয়েছিল। তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তার টাকাও নিয়ে নিয়ে ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে নগদ লেনদেন প্রায় বন্ধ। নগদ নিয়ে ঘোরাফেরা করেন না অনেকেই। হাতের মুঠোফোনটাই ব্যাঙ্কের কাজ করে। যেখানে ইচ্ছে সেখানেই টাকা পাঠাতে পারেন। মোবাইল নম্বর দিয়ে টাকাও পাঠাতে পারেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। তেমনভাবে অনেকেই টাকা পয়সা লেনদেন করেন। কিন্তু অনেকেই তাতে বিপদে প়ড়েন। তাই অনলািন পেমেন্ট অ্যাপগুলিও সর্বদা গ্রাহককে সতর্ক করতে থাকে।