দেশের ক্ষমতার করিডোর হিসেবে পরিচিত দিল্লি। তবে শুধু দিল্লি নয় বাকি রাজ্যতেও পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটে। কোনওটা ষড়যন্ত্র। কোনওটা আবার ক্ষমতার খেলা। ফ্রম দ্য ইন্ডিয়া গেট সেই খেলার অন্দরের কথাই তুলে ধরে।
দেশের ক্ষমতার করিডোর হিসেবে পরিচিত দিল্লি। তবে শুধু দিল্লি নয় বাকি রাজ্যতেও পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটে। কোনওটা ষড়যন্ত্র। কোনওটা আবার ক্ষমতার খেলা। ফ্রম দ্য ইন্ডিয়া গেট সেই খেলার অন্দরের কথাই তুলে ধরে।
বার নিয়ে বাড়াবাড়ি
নয়া টানাপোড়েনের খেলা দেখছে কর্ণাটক। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আর তাঁর ডেপুটি ডি কে শিবকুমারের মধ্যে টাগ অফ ওয়ার শুরু হয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে কোনও বার বা মদের দোকান খোলার বিরুদ্ধে মত দিচ্ছেন, সেখানে শিবকুমার ইতিমধ্যেই প্রতিটি গ্রামে বার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসে আছেন।
এরই মধ্যে আবার সিদ্দা অনুরাগীরা বলছেন গ্রামে গ্রামে নতুন নর্দমা তৈরি হোক। যাতে শিবকুমারের খুলে দেওয়া বার থেকে আকন্ঠ মদ্যপান করে ওই নতুন নর্দমার ধারে পড়ে থাকতে পারেন সুরাপ্রেমীরা। বলাই বাহুল্য মদ নিয়ে মন কষাকষি এখন কোনদিকে যায়, সেদিকে নজর রয়েছে।
ঝালঝাল বিক্ষোভ
যে কোনও প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই ক্যামেরা খুঁজে নেয় এমন কাউকে, যাঁরা সেই বিক্ষোভ প্রতিবাদকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। কেউ প্রতিবাদে কাদা খায়, কেউ তাতে শুয়ে পড়ে, কেউ আবার খালি পায়ে মাইলের পর মাইল হাঁটে। বিক্ষোভের নানা মুখ প্রায়ই দেখা যায়। তবে ইনি ছাড়িয়ে গেলেন সব নজির। বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তিনি বেছে নেন কাঁচা লঙ্কাকে। কাবেরী বিক্ষোভে সেই লঙ্কাই হয়ে উঠল শিরোনাম। আর এখন বলাই বাহুল্য পেটের জ্বালায় তিনি হাসপাতালে! এত কাঁচা লঙ্কা চিবিয়ে বাড়িতে তিষ্টোতে পারেননি তিনি। সোজা ছুটেছেন ডাক্তারের কাছে।
৫৬ বনাম ৫৬
এটাই রাজস্থানে নতুন নির্বাচনী স্লোগান। যদি কেউ এই পোল কোডের পাঠোদ্ধার করতে চান, তাহলে এর সহজ অর্থ হল আসন্ন নির্বাচনগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস সরকারের উন্নয়ন উদ্যোগের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখবে। মোদীর ৫৬-ইঞ্চি বুকের সঙ্গে পাল্লা দিতে কংগ্রেস সরকার রাজস্থানে মোট জেলার সংখ্যা ৫৬-এ নিয়ে যেতে আরও তিনটি জেলা তৈরি করেছে। এই নিয়েই ৫৬ vs ৫৬ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
উপেক্ষিত নেত্রী
উপেক্ষা কখন সবথেকে গায়ে লাগে, যখন দলের কনিষ্ঠরাও আপনাকে না দেখার ভান করে চলে যায়। এক সময় যে বা যারা আপনার দাক্ষিণ্যের প্রসাদ পেতে মুখিয়ে থাকত, আজ তারাই আপনার সামনে পুরুষ সিংহ। রাজস্থানের এক বিজেপি নেত্রীর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনই হয়েছে। দলে কোণঠাসা হওয়ার পর ছোট ছোট নেতারাও তাঁকে উপেক্ষা করে যান। অথচ তার হাত ধরেই দলে বিশাল পরিবর্তন এসেছিল। এমনই এক নেতাকে বারবার ফোন করলেও তিনি ধরেন না। অথচ একটা সময় ছিল সেই নেতা এই নেত্রীর ফোন পেলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলতেন। সময়ের খেল একেই বলে!
কমরেড গালিগালাজ
তিনি রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এমন একজন যাদের অনবদ্য প্রমাণপত্র রয়েছে। কিন্তু প্রথম পিনারাই সরকারের পিডব্লিউডি মন্ত্রী হিসেবে ভালো ট্র্যাক রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও গত বিধানসভা নির্বাচনে জি সুধাকরনকে কোণঠাসা করেছিল সিপিএম।
এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া একটি একচেটিয়া সাক্ষাত্কারে, সুধাকরন খোলাখুলিভাবে বলেছিলেন যে কারিভান্নুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিকে শুরুতেই না আটকাতে পারা সিপিএমের ব্যর্থতা। তাঁর মন্তব্য এমন সময়ে সামনে আসে যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সিপিএমের সিনিয়র নেতাদের কেলেঙ্কারিতে আটক করছে। বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায়।
যদিও সিপিএম এই ঘোষণা জারি রেখেছে যে ইডির তদন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ। তবে সুধাকরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তদন্তের ধার ও ভার দুই-ই রয়েছে। 'ইডিকে থামানো যাবে না।
তিনি প্রবীণ নেতা এলামারাম করিমকেও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যিনি দলকে রিপোর্ট করেছিলেন যে সুধাকরণ গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় নিষ্ক্রিয় ছিলেন।