পাকিস্তানকে অস্ত্রসাহায্য থেকে ভারত সীমান্ত অশান্তি তৈরির চেষ্টা, দুমুখো সাপের নীতি চিনের

চড়া সুরে ভারত জানিয়ে দিল চিনা সেনার জন্যই গালওয়ান সংঘর্ষের সূচনা। নয়াদিল্লির দাবি চিন প্রথম থেকেই ওই এলাকায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করে আসছে।

Parna Sengupta | Published : Sep 24, 2021 3:28 PM IST

ভারতীয় সেনা (Indian Army) চিন (China) ভূখন্ডে ঢুকে পড়াতেই গালওয়ান সংঘর্ষ (Galwan Valley incident)। শুক্রবার এমনই বিবৃতি বেজিং দেওয়ার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লির (New Delhi)। চড়া সুরে ভারত জানিয়ে দিল চিনা সেনার জন্যই গালওয়ান সংঘর্ষের সূচনা। নয়াদিল্লির দাবি চিন প্রথম থেকেই ওই এলাকায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করে আসছে। সেই অশান্তিরই ফল এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।  

আরও পড়ুন-  ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাকিস্তানের, অস্ত্র দিচ্ছে চিন, ফাঁস গোপন চুক্তি

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে চিনের আগ্রাসী আচরণ এবং পূর্ব লাদাখে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা চেষ্টা দুই দেশের সীমান্তের শান্তি বিঘ্নিত করেছে। বিদেশমন্ত্রকের আরও দাবি পূর্ব লাদাখে চিনের পদক্ষেপ ভারতের এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র এদিন জানান, এই ধরণের বক্তব্যে নিন্দা করে ভারত। পূর্ব লাদাখের উন্নয়ন ও সীমান্তে শান্তি প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে ভারত বরাবর অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তাই চিনকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে, যে সীমান্তের শান্তি বজায় রাখা ও দুই দেশের সম্পর্কের স্থিতাবস্থা ধরে রাখার ক্ষেত্রে যত্নশীল হওয়া জরুরি। নয়াদিল্লির দাবি সবরকম দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করে চিন ক্রমাগত উস্কানিমূলক আচরণ করে চলেছে, যা শান্তি বিঘ্ন করছে। 

আরও পড়ুন- তালিবানদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, নির্লজ্জ পাকিস্তানের জেদে বাতিল সার্ক সম্মেলন

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সেখানে ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। যদিও তারআগেই প্যাংগং লেক ও অরুণাচল সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। তবে তা কখনও গাওয়ান সংঘর্ষের মত প্রাণঘাতী আকার নেয়নি। 

আরও পড়ুন- নজরে আফগানিস্তান-সন্ত্রাসবাদ, ভারতের বার্তা তুলে ধরতে বিদেশ সফর শুরু নরেন্দ্র মোদীর

৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে চলতি বছর ভারত ও চিন মুখোমুখি হয়। গত প্রায় দেড় বছর ধরে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ভারত ও চিন উভয় দেশই কূটনৈতিক ও সামরিক বৈঠকের ওপরেই আস্থা রেখেছিল। দুই দেশের আলোচনার জন্য তৈরি হওয়া ডাবলুএমসিসির বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। 

নিজেদের তরফ কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, সে সম্পর্কে সরকারি ভাবে বেজিং কখনও মুখ খোলেনি। তবে গালওয়ান ভ্যালি সংঘর্ষের কয়েক মাস পরে  বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে যে পিপলস লিবারেশন আর্মি গালওয়ান সংঘর্ষে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন সেনা জওয়ানকে হারায়। 

Share this article
click me!