ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান চিত্রার 'হিমালয়ের বাবা' কে, খুলছে রহস্যের জট

সম্প্রতি গোটা দেশই উত্তাল চিত্রা রামাকৃষ্ণের হিমালয়ের যোগীকে কেন্দ্র করে। যদিও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই বিষয়ে তদন্তে ইতি টেনেছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানতে চাইছে কে সেই নিরাকার বাবা। যার ইমেইলেই চলতে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।

Bangla SiteAdmin | Published : Feb 21, 2022 10:18 AM IST

ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের (NSE) প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও চিত্রা রামাকৃষ্ণের (Chitra Ramakrishna) 'হিমালয়ের যোগী' (Himalayan Yogi)বা  নিরাকার হিমালয়ের বাবা আর কেউ নন, তিনি অর্থ মন্ত্রকের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা। হিমালয়ের মনত উত্তর নয়, তিনি এসেছিলেন দেশের দক্ষণপ্রান্ত থেকে। তেমনই দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রকের আরেক কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেছেন, সেই সরকারি আধিকারিক চিত্রা রামাকৃষ্ণের কেরিয়ার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁকে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে পৌঁছাতেও  সাহায্য করেছিলে। চিত্রার গগনচুম্বি সাফল্যের পিছনে সেই কর্মকর্তার কৃতিত্ব বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

সম্প্রতি গোটা দেশই উত্তাল চিত্রা রামাকৃষ্ণের হিমালয়ের যোগীকে কেন্দ্র করে। যদিও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই বিষয়ে তদন্তে ইতি টেনেছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানতে চাইছে কে সেই নিরাকার বাবা। যার ইমেইলেই চলতে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিত্রার 'নিরাকার বাবা' সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে সূত্রের মারফত তাদের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। একটি সূত্র উল্লেখ করেছে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের স্ট্র্যাটেজি অ্যাডভাইজার আনন্দ সুব্রামানিয়ামের নাম। সেই ব্যক্তি ইমেইল মারফত চিত্রার সঙ্গে যোগাযোগ করে NSEর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজের মতামত দিতেন। একই সঙ্গে চিত্রার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর মতে আনন্দ সুব্রামানিয়াম  যদি চিত্রার অদেখা যোগী হন তাদরে তার কাছে NSEর তথ্য পাঠান গুরুতর অপরাধ। কারণ তিনি একজন বহিরাগত। তবে একটি সূত্র আবার দাবি সম্পূর্ণ রূপে উড়িয়ে দিয়েছে। অন্য সূত্রের মত সুব্রামানিয়ামকে বাবা সাজিয়ে পেশ করা হলে কাজ অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেক নামিদামি মানুষ জড়িয়ে রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেক কর্মকর্তা। 

সূত্রের খবর এই, সিবিআই যদি এই ঘটনার তদন্ত করত তাহলেই সন্ধান পাওয়া যেত কে চিত্রার নিরাকার যোগী। কিন্তু এই ঘটনা তদন্তে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ এক দল কর্মকর্তার। সাধারণ একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির মতই এই মামলাটিকে দেখা হয়েছে, চিত্রাকে মাত্র তিন কোটি টাকা জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, চিত্রা কাজ থেকে ইস্তফা দিয়েছে, তাই আর বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন নেই। 


সূত্রের খবর সুব্রামানিয়ামের সঙ্গে চিত্রার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল। তার কাছ থেকে সুবিধে পাওয়ার জন্য জাল আইডি ব্যবহার করেছিলেন। আনন্দ সুব্রামানিয়কে নিয়ে যথেষ্ট রহস্য তৈরি হয়েছে। যদিও দুই বিশিষ্ট সাংবাদিক সুচেতা দালাল ও দেবাশিস বসুর লেখাতে স্পষ্ট যে এই ব্যক্তি সম্পর্কে খুব কমই তথ্য সামনে এসেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে নেট দুনিয়া থেকে কেউ যদি সম্পূর্ণ রূপে নিজেকে সরিয়ে নেন তাহলে সেটা অত্যান্ত সন্দেহের। সুব্রামানিয়নের কোনও ডিজিটাল তথ্য সেই। অথচ তিনি একটি প্রযুক্তি নির্ভর ও সংবেদনশীল সংস্থার গ্রু অপারেটিং অফিসার হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অথচ ডিজিটালি তার তেমনই কোনও অ্যাক্টিভিটি চোখে পড়ে না। তার কোনও সন্ধান না পেয়ে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিশ। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নন্দী পাহাড়ে আটকে তরুণকে উদ্ধার করল ভারতীয় বায়ু সেনা

কেমন আছেন রানী, কোভিড আক্রান্ত এলিজাবেথের আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর

হিজাবকাণ্ডের মধ্যে কর্নাটক বজরং দলের সদস্য খুন, বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা

Share this article
click me!