ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের ৫ বছরের কারাদণ্ড

৩৮ জন দোষী সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৫ জন বিরসা মুন্ডা কারাগারে বন্দী রয়েছেন, অন্যদিকে লালু প্রসাদ যাদব সহ অন্য তিনজন দোষীকে স্বাস্থ্যগত কারণে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (RIMS) ভর্তি করা হয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Feb 21, 2022 9:45 AM IST

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অধীনে ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। লালুকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৬০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন করবেন লালুপ্রসাদ যাদবের আইনজীবী বলে জানা গিয়েছে।

হাইকোর্টে লালু প্রসাদ যাদব অর্ধেক সাজা ভোগ করেছেন বলে যুক্তি দেওয়া হবে। লালু প্রসাদ যাদবের আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতে অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছি। বর্তমানে লালু যাদবের বয়স ৭৩ বছর। লালু যাদব ছাড়াও এই মামলার ৩৮ জন দোষীকে সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ সিবিআই আদালত সাজা দিয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর বিশেষ আদালতের বিচারক এসকে শশী তাদের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শুনানির জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

সিবিআইয়ের বিশেষ আইনজীবী বি এম পি সিং রবিবার বলেন যে বিশেষ আদালত শনিবার নির্দেশ দিয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৪১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৩৮ জনকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, অন্য তিন আসামি ১৫ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে পারেনি, যার কারণে আদালত তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আরও পড়ুন - ফর্মে ফিরলেন লালু! রাজনৈতিক গ্রীষ্মে কৌতূক-ধারায় বিদ্ধ মোদী

আরও পড়ুন - Tejashwi's Wedding: বান্ধবীর সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়লেন তেজস্বী যাদব, কে RJD নেতার স্ত্রী

জানা গিয়েছে, ৩৮ জন দোষী সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৫ জন বিরসা মুন্ডা কারাগারে বন্দী রয়েছেন, অন্যদিকে লালু প্রসাদ যাদব সহ অন্য তিনজন দোষীকে স্বাস্থ্যগত কারণে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (RIMS) ভর্তি করা হয়েছে। সিবিআইয়ের বিশেষ কৌঁসুলি বলেছেন যে জেল প্রশাসন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩৮ জন দোষীকে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করেছিল।

তিনি বলেছিলেন যে লালু প্রসাদ ছাড়াও ডক্টর কে এম প্রসাদ এবং যশবন্ত সাহাই RIMS-য়ে ভর্তি হয়েছেন। বিরসা মুন্ডা জেল সুপার হামিদ আখতার জানান, RIMS-য়ে ভর্তি হওয়া তিন আসামিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির করার জন্য ল্যাপটপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদালত লালু প্রসাদ যাদবকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১-এর সাথে ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত ধারা ১২০বি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৩(২) ধারা সহ দোষী সাব্যস্ত করেছে।

এই ক্ষেত্রে, সিবিআই মোট ১৭০জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল এবং ২০০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৪৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। লালু প্রসাদ যাদব সহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে সমস্ত পক্ষের যুক্তি শোনে আদালত। ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি কথা জানা গিয়েছিল। ১৯৯৭ সালের জুন মাসে সিবিআই লালুপ্রসাদ যাদবের নাম অভিযুক্তের তালিকায় যুক্ত করেছিল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, লালুপ্রসাদ এবং এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরও ৪৫ জনকে রাঁচি জেলে বন্দী করা হয়েছিল। ২০১৩-র ডিসেম্বরেই অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট লালুপ্রসাদকে জামিন দিয়েছিল। ২০১৭-র ডিসেম্বরে, সিবিআই আদালত ফের আরও এক মামলায় তাঁকে এবং আরও ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। 

Read more Articles on
Share this article
click me!