নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। একসপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে আন্দোলন। শুক্রবারও সেই রেশ কম হোয়ার কোনও লক্ষ্মণ নেই। এদিনও উত্তপ্ত থাকল রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি। শুক্রবার দিল্লির জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল ভীম আর্মি। যদিও পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। ফলে জুম্মার নামাজ শেষ হতেই জামা মসজিদের ভিতরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও দেখুন :শীত পড়েছে জাঁকিয়ে, কমলালেবুর উৎসব শুরু ইম্ফলে
পুলিশের অনুমতি ছাড়াই ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে মসজিদ থেকে বিশাল জনস্রোত রওনা দেয়। আজাদের হাতে ছিল ভারতীয় সংবিধানের প্রতিলিপিও। এই অবস্থায় জামা মসজিদের বাইরে বেরনোর গেট বন্ধ করে প্রতিবাদীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু বিশাল জনস্রোতের সামনে পুলিশি বাধা কার্যত ভেঙে পড়ে। এই অবস্থায় দরিয়াগঞ্জের কাছে চন্দ্রশেখরকে আটক করে পুলিশ। তবে চন্দ্রশেখরকে আটকে রাখতে পারেনি বিশাল পুলিশবাহিনী। ভ্যানো তোলার আগেই পুলিশের হাত ফস্কে ফের মিছিলে ঢুকে যান ভীম আর্মির প্রধান।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝে বিজ্ঞাপন দিল মোদী সরকার, জানান হল ঘোষণা হয়নি এনআরসি-র
পরে চন্দ্রশেখর আজাদ ট্যুইট করে জানান, "আমায় আটক হওয়ার খবরটি ভুয়ো, এই খবরে গুরুত্ব দেবেন না। আমি জামা মসজিদের বিক্ষোভে রয়েছি।" এরপরেই সংবিধানের প্রতিলিপিটি জোরে জোরে পড়তে থাকেন ও ব্যাখ্যা করতে থাকেন কীভাবে অসাংবিধানিক উপায়ে দেশজুড়ে জারি হতে চলেছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এদিকে এত পুলিশ বাহিনী, কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকে কীভাবে চন্দ্রশেখর আজাদ উধাও হলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন :মধ্যপ্রদেশে নারী নিগ্রহের নৃশংস প্রতিশোধ গ্রামবাসীদের, রেহাল মিলল না পুলিশেরও
সংবিধানের প্রণেতা অম্বেদকরের ছবি হাতে এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ভীম সেনা। স্লোগান ওঠে 'জয় ভীম'। সাধারণ মানুষও এদিন বিক্ষোভে যোগ দেন। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তা ভেঙেই নতুন করে এই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজধানীতে। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লির মেট্রো স্টেশনগুলি।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনেও চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। প্রতিবাদে নামে কংগ্রেসের মহিলা মোর্চা। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ও।