গোটা উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহের জেরে, হঠাৎ করেই ব্যাপক ঠান্ডা পড়েছে। লাদাখের দ্রাস সেক্টরে শনিবার ভোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকায় ৪০টি দিন একটানা ভয়ঙ্কর শীত থাকে। সেই কঠিন শীতের সময়কাল আসতে এখনও দিন তিনেক বাকি। তার আগেই, শনিবার মরসুমের শীতলতম রাত (Coldest Night) পেল শ্রীনগর (Srinagar)। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার ভোরে শ্রীনগরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে, শুধু শ্রীনগর নয়, উত্তর ভারতের (North India) বিভিন্ন জায়গারই পারদ, হঠাৎ করেই এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে গিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ অবশ্য, আগেই উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু অংশে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু, এরকম ভয়ঙ্কর ঠান্ডায় জমে যাওয়া অবস্থা হবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি -
বর্তমানে ভারতের শীতলতম স্থান লাদাখ (Lasakh) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দ্রাস সেক্টর (Dras Sector)। শনিবার ভোরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল মাইনাস ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! দ্রাসের পরই সবথেকে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu And Kasmir) কেন্দ্রশাসিত এলাকার পহলগাম (Pahalgam)। পহলগামের এদিন রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কেলং (Keylong)-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অটল টানেল (Atal Tunnel) ধরে মানালি (Manali) থেকে ৭১ কিলোমিটার মতো উত্তরদিকে গেলেই পড়ে এই কেলং। এটি হিমাচল প্রদেশের শীতলতম অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। শুক্রবার রাত বা শনিবার ভোরে রেকর্ড করা তাপমাত্রার নিরিখে কেলং-ই ছিল দেশের তৃতীয় শীতলতম স্থান। আর কেলং-এর পরই সবথেকে বেশি ঠান্ডা ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে (তাপমাত্রা আগেই বলা হয়েছে মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
ঠান্ডা পড়ার নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানাও। উত্তরাখণ্ডের রানিচৌরিতে (Ranichauri, Uttarakhand) শনিবার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজ্যের মুক্তেশ্বরে (Mukteshwar) রাতের তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, মুসৌরিতে (Mussoorie) ০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পিথোরাগড়ে (Pithoragarh) ০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নিউ তেহরিতে (New Tehri) তাপমাত্রা ছিল ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজস্থানের চুরুতে (Churu, Rajasthan) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পঞ্জাবের অমৃতসরেও (Amritsar, Punjab) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১ ডিগ্রির নিচে, ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিম রাজস্থানের আরেক শহর গঙ্গানগরেও (Ganganagar) রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হরিয়ানার নারনৌল (Narnaul, Haryana) শহরে, গত রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমনকী রাজধানী নয়াদিল্লিতেও (New Delhi) বইছে শৈত্যপ্রবাহ। জাতীয় রাজধানী মধ্যে আয়া নগর (Aya Nagar () ছিল শীতলতম এলাকা। আয়া নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুধু উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেই নয়, আইএমডি জানিয়েছে, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পূর্ব ভারত এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।