করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সিভিল সার্ভিস, আইআইটি-সহ কিছু পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
করোনা সঙ্কটের জেরে গত দুবছর ধরে দেশের অন্যান্য সেক্টরের পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমানে কমবেশি একাধিক রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের(educational institutions) দরজা খুললেও গত দেড় বছর ধরে তা ছিল বন্ধই। পন্থা ছিল একমাত্রই অনলাইন মোড। স্কুল স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি এই সঙ্কটের জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উচ্চশিক্ষাও। আর এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই দেশে গত দু’বছরের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সিভিল সার্ভিস, আইআইটি-সহ কিছু পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে(Prime Minister Narendra Modi) চিঠি দিলেন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা(Leader of Opposition in Lok Sabha) ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury, President of Pradesh Congress)। কংগ্রেস নেতার এই পদক্ষেপকে ইতিমধ্যেই সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার দাবি, অনেকেই কোভিড-যোদ্ধা(Covid-warrior) হওয়ায় অথবা নিজেরা বা পরিবারের লোকজন কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে ওই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পারেননি। লকডাউনের সময়ে বড় শহর ছেড়ে চলে আসতে হওয়ায় তার প্রভাব পরীক্ষা প্রস্তুতিতে পড়েছে। অনেকেরই পরীক্ষা দেওয়ার বয়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। তাই এই ক্ষেত্রে মানবিক জায়গা থেকে যাতে তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া যায় সেকথা বিবেচনা করে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন অধীর চৌধুরী। এদিকে করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর বর্তমানে ফের তা সচল হলেও উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। করোনাবিধি মেনে পঠনপাঠন চালু রাখতে গিয়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এখনও অইনলাইন মোডেই পজ়াশোনা জারি রেখেছে। কিন্তু তাতেও মিটছে না সমস্যা। পরিসংখ্যান বলছে, বাড়িতে মোবাইল থাকলেও পড়ার সুযোগ নেই অনেকের। অনেকেরই হাতে নেই মোবাইল। বর্তমানে দেশের গড় ২৬.১ শতাংশ পড়ুয়ার হাতে মোবাইল নেই। বাংলার ক্ষেত্রে এই গড় ৪৬.৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন-অর্থ সঙ্কটে পরিবার, সহপাঠীর সঙ্গেই বিয়ে স্কুলের ফার্স্ট গার্লের, শিক্ষকদের উদ্যোগে দিলেন Madhyamik Test
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু তারপরেও যে উদ্বেগ কমেনি তা বর্তমান চিত্রেই পরিষ্কার। তবে নিজের মোবাইল না থাকলেও দেশের গড় ৬৭.৬ শতাংশ পড়ুয়ার বাড়িতে মোবাইল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে ৫৮.৪ শতাংশ পড়ুয়ার বাড়িতে রয়েছে মোবাইল। তবে মোবাইল থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগের সমীচিন অবস্থা ভাবাচ্ছে সকলকে।