রাজস্থান মামলা নিয়ে বিবাদ কংগ্রেসের অন্দরে
একপক্ষ মামলায় যেতে নারজ
অন্যপক্ষ চাইছেন আইনি মোকিবিলা
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও নিশানা করলেন বিজেপিকে
রাজস্থান ইস্যুতে কংগ্রেসের অন্দরেই এবার দেখা দিয়েছে দ্বিমত। সূত্রের খবর কংগ্রেসের একটি অংশ চায় রাজস্থান ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে। তবে অন্যপক্ষ আদালতের ওপর আস্থা রাখতেই আগ্রহী। তবে পুরো বিষয়টি হাইকমান্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। সোমবারই শচীন পাইলট মামলার শুনানি করবে শীর্ষ আদালত। তার আগে এদিন কংগ্রেস সূত্রের খবর বেশ কয়েকজন নেতা মনে করছেন অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে রাজনৈতিক মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
শুক্রবারই বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ককে রীতিমত স্বস্তি দিয়েছে আদালত। রাজস্থানের স্পিকার আপাতত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না বলেই নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে এখনও বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে নারাজ স্পিকার। আগামী ৩১ জুলাই যাবে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য দ্বিতীয় বার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রার কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তবে এবার গেহলট আস্থা ভোটের প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন। যদিও ঘনিষ্ট মহলে তিনি দাবি করেছেন সংখ্যাগরিষ্ঠাতা নিয়ে তাঁর কোনও চিন্তা নেই।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এদিন নিশানা করেছেন বিজেপিকে। তিনি বলেছেন করোনাভাইরাস অতিমারীর আকার নিয়েছে দেশজুড়ে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজস্থানের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপির উদ্দেশ্য আর চরিত্র স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন প্রিয়াঙ্কা। পাশাপাশি জনগণ এর জবাব দেবে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাজস্থান ইস্যুতে সরব হলেও এড়িয়ে গেলেন পাইলট-গেহলট প্রসঙ্গ, রাহুলের টার্গেট সেই বিজেপি
ছাঁটাইয়ের পরেই কি আত্মহত্যা পথ বাছলেন, আবু ধাবির ফ্ল্যাটে ভারতীয় দম্পিতর দেহ ঘিরে রহস্য ...
অন্যদিকে কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভা শচীন পাইটল আর অশোক গেহলটের সমস্যা সমাধানের জন্য সোনিয়া গান্ধীর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন গেহলট-পাইলট সমস্যা এটা কংগ্রেসের অন্দরের সমস্যা। এটা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী দুজনকে চায়ের আমন্ত্রণ জানাতেই পারেন। তাঁর যুক্তি শচীন পাইলট স্পষ্ট করে বলেছেন তিনি দল ছাড়তে নারাজ। বিজেপিতেও যেতে চান না তিনি। পাশাপাশি পাইলট পরিষ্কার করে দিয়েছেন কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার কোনও ইচ্ছেই তাঁর নেই। আর এই সমস্যা ১০ নম্বর জনপথ মেটাতে সক্ষম বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।