গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে আসা কোনও নেতাই কংগ্রেসকে গগনচুম্বী সাফল্য দিতে পারেনি। গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে যখন ঘরে বাইরে সমোলোচিত হয়েছেন সনিয়া গান্ধী তখন এই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বর্তমানে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতাও তিনি। সোমবার কথা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে গান্ধী পরিবারের সদস্যরাই সাফল্য পেয়েছেন। আর কারও সাফল্য তেমন উল্লেখ যোগ্য নয়। কথা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী পিভি নরসীমা রাও আর সীতারাম কেশরীর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন রাওয়ের পর সনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের লাগাম ধরায় কংগ্রেস তার হারানো জায়গা ফিরে পেয়েছিল। সনিয়া গান্ধীর সেই সাফল্যের কথা কংগ্রেস কখনই অস্বীকার করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের নেতৃত্বে রদবদল চেয়ে দলেরই ২৩ জন শীর্ষ নেতৃত্ব সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন। তারপরই এদিন সনিয়া কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। আর এই বৈঠকেই দলের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হবে পারে বলেই সূত্রের খবর। কারণ ইতিমধ্যেই অন্তবর্তী সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছেন সনিয়া গান্ধী। আর সভাপতির পদে ফিরতে এখনও পর্যন্ত অনীহা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এদিন লোকসভার কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী বলেন কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে ব্যর্থ কয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু এই দায় তাঁর একার বলেও মন্তব্য করেন অধীর। তাঁর আরও অভিযোগ কংগ্রেস নেতারা যেভাবে রাহুল গান্ধীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তাকে বিজেপির ভিত আরও মজবুত হচ্ছে। কারণ প্রথম থেকেই বিজেপির নিশানা রাহুল গান্ধীসহ গান্ধী পরিবারের সদস্যরা।
দাউদ নিয়ে পাকিস্তান মিথ্যাচার করছে, তেমনই তথ্য হাতে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ...
গালওয়ানের ওপার থেকে লানাক লা, বাড়ছে ড্রাগনের নিঃশ্বাস, রীতিমত যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে চিন ...
নেতা নিয়ে কংগ্রেসের কন্দোল যেভাবে বাইরে এসেছে তাতেই কিছুটা হলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারত। তাঁর আরও অভিযোগ, আজ যাঁরা সনিয়া বা রাহুলকে নিশানা করেছেন তাঁর একটা সময় গান্ধীপরিবারের এই সদস্যদের রীতিমত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সনিয়া বা রাহুলের কাছে তাঁদের অবারিত দার ছিল। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচন করেই সম্মিলিতভাবে একটি স্থির সিদ্ধান্তে আসা যেত বলেও মনে করেন তিনি। পাশাপাশি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মনে করেন বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে জোট বাঁধার মত ক্ষমতা এখনও রাখেন সনিয়া গান্ধী।