৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিরোধী নেতা হিসেবে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল।
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বিতর্কিত পদক্ষেপ। স্বাদীনতা দিবসে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠানে গরহাজির। যা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সময় লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন সেই সময় কংগ্রেসের কার্যালয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলনও করেন। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলছেন খাড়গে।
৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিরোধী নেতা হিসেবে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। দেশের সংবিধান আর প্রোটোকল মেনেই এই পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু গোটা অনুষ্ঠানই সেই চেয়ার খালি পড়ে থাকল। কারণ এদিন সকালে খাড়গে প্রথমে বাড়িতে তারপরই কংগ্রেসের কার্যালয়েস্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন। তিনি কংগ্রসের কার্যালয় জাতীয় পাতাকাও উত্তোলনও করেন। কংগ্রেসের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বও।
Defence News: সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে বড় পদক্ষেপ, T-72 ট্যাঙ্ক সরিয়ে FRCV প্রতিস্থাপন
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের প্রসিডেন্টের? কেন হাজির হলেন না স্বাধীনতা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে ?মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, তাঁর চোখে সমস্যা রয়েছেষ তাঁকে তাঁর বাসভবনে ও তারপর কংগ্রেসের অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হয়েছেল। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যদি লালকেল্লা যেতেন সেখান থেকে সময় মত কংগ্রেসের সদর দফতরে পৌঁছাতে পারতেন না। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সময়ের অভাবের কারণেই লালকেল্লার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি যাননি। যদিও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ বিশিষ্টজনেরা।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, স্পষ্টতই বিদেপি খাড়গের লালকেল্লায় প্রধাননন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় বিরক্ত হয়েছে। তারপরই তিনি বলেন 'প্রধানমন্ত্রী কি বুঝতে পারছেন যে তাঁর রুট ব্যবস্থার কারণে খাড়গের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দলীয় কার্যালয়ে সঠিক সময়ে পৌঁছানো সম্ভব হত না। ' তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের দলের সদর দফতরে পতাকা উত্তোলনের স্বাধীনতা কি তাদের নেই। তবে কংগ্রেস নেতা মণিকম ঠাকুর বলেছেন, দেশের মানুষের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন লোকসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, সাংসদদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়, বিরোধীরা বক্তব্যে আদানিদের নাম নিলে তা বাতিল করে দেওয়া হয়, বিরোধীদের বক্তব্যের সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে বিরোধীদের কী করা উচিৎ। যদিও খাড়গে এসব কিছুই না বলে তিনি স্বাধীনতা দিবসে দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীরদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছে। তাঁর বার্তায় যেমন নাম রয়েছে জওহরলাল নেহেরুর, তেমনই নাম রয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ীর।
স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে কড়া পদক্ষেপ NHRC-র, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মমতা সরকারকে নোটিশ