সংক্ষিপ্ত

স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে NHRC। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ।

 

যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে কড়া পদক্ষেপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC)। এবার স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে তারা। রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাশাপাশি নোটিশ পাঠান হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিওয়া হয়েছে। ব়্যাগিংএর বিরুদ্ধে সচিতনতা গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ করেছে তাও রিপোর্টে বিস্তারিত উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েচে। রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও আলাদা করে নোটিশ পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

আগেই রাজ্য শিশু সুরক্ষা দফতর স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে। স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়েছিল প্রতিনিধি দল। কথা বলেছে নিহত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা দলের প্রতিনিধি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও নিশানা করেছে। তারপরই স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে আসরে নেমেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় আরও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ব়্যাগিংএর তত্ত্ব। মূল অভিযোগ সৌরভের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকেই। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কীভাবে ব়্যাগিং করা হয়েছিল স্বপ্নদীপকে। কারণ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী স্বপ্নদীপ মৃত্যুর আগে বারবার বলেছিলেন 'আমি সমকামী নই'।

লোকসভা নির্বাচনের আগেই কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের পতন! কেন এই ভবিষ্যদ্বাণী বিজেপি নেতার

স্বপ্নদীপকে বুধবার রাতে দীর্ঘসময় ধরে কাউন্সেলিং করা হয়েছিল। কারা করেছিল এই কাউন্সেলিং- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন সিনিয়র দাদারা। কিন্তু দাদারা কেন কাউন্সেলিং করবে , এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। সহপাঠীর বয়ান অনুযায়ী কাউন্সেলিং-এর পরই অস্থির হয়ে পড়ে স্বপ্নদীপ। কোনও কথার সঠিক উত্তর দিতে পারছিল না। তারপরই সে বারবার বলতে শুরু করে সে সমকামী নয়। পুলিশ সূত্রের খবর এই তথ্য সংগ্রহ করে মিসিং লিঙ্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হোস্টেলের প্রথম দিনেই ভয়ঙ্কর ব়্যাগিংএর শিকার হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্র। যার রেশ পড়ুয়া কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ইতিমধ্যেই এক প্রাক্তনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অনুমানে এই ঘটনার পিছনে আরও অনেকেরই হাত রয়েছে। কিন্তু স্বপ্নদীপের মৃত্যু আবারও প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রাজ্যের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ভয়ঙ্কর ব়্যাগিংএর শিকার হতে হত নবীন পড়ুয়াদের।

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ছে মৃত্যু, বন্ধ করে দেওয়া হল চারধাম যাত্রা

নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

'স্বপ্নদীপের শরীরে সিগারেটের পোড়া দাগ', শারীরিক নির্যাতনের কারণেই মৃত্যু বলে দাবি WBCPCR র