জম্মু ও কাশ্মীরের পর আবারও বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এবার সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলীয় পদ ছাড়লেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্দ শর্মা।
জম্মু ও কাশ্মীরের পর আবারও বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এবার সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলীয় পদ ছাড়লেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্দ শর্মা। 'আত্মসম্মান নিয়ে সমঝোতা নয়' সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে এমনটাই দাব করে পদ ছেড়েছেন আনন্দ শর্মা।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সম্প্রতী দলীয় পদ ছেড়েছেন। তাঁকে জন্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেসের প্রচার কমিটির প্রধান করা হয়েছিল। পাশাপাশি কাশ্মীরের রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। দুটি পদ থেকেই পদত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদ। এবার সেই একইভাবে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা।
আজাদ ও আনন্দ শর্মা দুজনেই কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা। দুজনেই G-23 র গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দুজনেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি গান্ধীদেরও সমালোচনা করেছেন। তাই শর্মার ইস্তফায় কংগ্রেস কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে।
আনন্দ শর্মার অভিযোগ হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে তাঁর পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়েছে। সেই কারণেই তিনি এই পদ ছেড়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন আগামী দিনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেবেন। হিমাচল প্রদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবেই পরিচিত আনন্দ শর্মা। গত ২৬ এপ্রিল আনন্দ শর্মাকে হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই বছরই শেষের দিকে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতেই জল ঢালল আনন্দ শর্মার ইস্তফা।
আনন্দ শর্মা প্রথমে ১৯৮২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তারপর ১৯৮৪ সালে রাজ্যসভায় তাঁকে নিয়ে আসেন ইন্দিরা গান্ধী। তখন থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
'আপনি থাকবেন স্যার?', রাহুল গান্ধী না হলে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি কে- জল্পনা তুঙ্গে
অনুব্রতকে 'বাবা' ডাকতেন, সিবিআই-এর নজরে হঠাৎ 'বড়লোক হওয়া' পুরসভা কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েন
খড়কুটোর মত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বৃষ্টির জল, হড়পা বান আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল