রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিরোধী ঐক্যে সংকট দেখা দিলেও তেমন প্রকট হয়নি। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সেই ফাটল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে মুখ পুড়তে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলির।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিরোধী ঐক্যে সংকট দেখা দিলেও তেমন প্রকট হয়নি। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সেই ফাটল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে মুখ পুড়তে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলির। বিশেষজ্ঞদের মতে দিল্লিতে রীতিমত বিরোধী ঐক্য নিয়ে দর কষাকষি শুরু হয়ে গেছে। যার একদিকে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস আর অন্যদিকে রয়েছে কংগ্রেস। যা ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে তেমন শুভ ইঙ্গিত নয় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কংগ্রেস এবং টিএমসিকে যৌথ রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্য তৈরিতে কৃতিত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গেলেও, ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাদের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছিল। কংগ্রেস প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মার্গারেট আলভাবে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তারপরই তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন মার্গারেট আলভা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল হলেও তিনি বলেছিলেন এটা অহংকার বা রাগের সময় নয় একটা সাহসী নেতৃত্ব দেওয়া ও ঐক্যের সময়। যাইহোক তারপরেও তৃণমূলের ক্রোধের বরফ তিনি গলাতে পারেননি। পাল্টা তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল থাকার সময় জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক মোটেও মধুর ছিল না। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে কোনও দলের হেয় করা উচিৎ নয়। তিনি আরও বলেছিলেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস শুধু বন্ধু দলই নয়- তারা সমান আদর্শের একটি গল। কিন্তু কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম-র সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যা তৃণমূল ভালভাবে নেয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর তাঁর এই মন্তব্য ছিল।
অন্যদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকলেও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শক্রিঘ্ন সিনহা রবিবার জনদীপ ধনখড়কে তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। "আশা করি, কামনা করি এবং প্রার্থনা করি যারা আপনাকে ভোট দিয়েছেন এবং সমর্থন করেছেন এবং যারা অনুপস্থিত ছিলেন, করেননি বা পারেননি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক রশিদ কিদওয়াই বলেছেন যে ভোটের ফলাফলগুলি পূর্ববর্তী উপসংহার ছিল কিন্তু বিরোধী দলগুলির মধ্যে ঐক্যের অভাব ক্ষমতাসীন এনডিএকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাওয়া দলগুলির জন্য ২০২৪ সালের রাস্তাটিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। তিনি বলেন, "বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। যা ২০২৪ সালের জন্য বিরোধীদের জন্য অনেক সমস্যা তৈরি করেছে কারণ এটি দুটি প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে যোগাযোগের অভাব এবং দুটি দলের মধ্যে নতুন করে শিকারের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে," পিটিআই-এর মুখোমুখী হয়ে তেমনই জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, "এটি উভয় দলেরই দোষ কারণ এটি ট্যাঙ্গো করতে দুটি লাগে। কংগ্রেসকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলটি তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং একইভাবে টিএমসিকে বুঝতে হবে যে কংগ্রেস দেশের প্রধান বিরোধী দল রয়ে গেছে"।
নীতি আয়োগের বৈঠেক হাত জোড় করে সৌজন্য মমতা-মোদীর, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও আলোচনা
সোনা পেলেন নিখাত জারিন- ছবি উড়ল মুখ্যমন্ত্রীর, কমনওয়েলথ গেমসের আসরে নতুন বিতর্ক
ইলিশ চেনার সহজ উপায়, যদি ঠকতে না চান জেনে নিন কোন ইলিশের স্বাদ বেশি