নীতি আয়োগের বৈঠেক হাত জোড় করে সৌজন্য মমতা-মোদীর, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও আলোচনা

দিল্লিতে শুরু হয়েছে সপ্তম নীতি আযোগের বৈঠক। এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় হল শস্য বৈচিত্র, নগর উন্নয়ন, জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) বাস্তবায়নের মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা করা।  এই বৈঠকে দীর্ঘ দিন পরে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠক শুরু আগেই প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী একে অপরকে হাত জোড় করে প্রনাম করে সৌজন্য বিনিময় করেন। 

এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর এটাই প্রথম কাউন্সিলের সভা যেখানে উপস্থিত রয়েছেন অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান। সাধারণত প্রতি বছর একটি পূর্ণ কাউন্সিল মিটিং হয়। কারোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ২০২০ সালে এই সভা ডাকা হয়নি। কাউন্সিলের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে।

এদিনের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও নীতিশ কুমার , কেসি আর-এর মত অনেক মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। তবে মমতার মতই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করেও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কেসিআর এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন যে তার সিদ্ধান্তটি তেলেঙ্গানা সহ রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কথিত স্পষ্ট বৈষম্য হিসাবে অভিহিত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিহ্ন। নীতীশ কুমার, যিনি সবেমাত্র COVID-19 থেকে পুনরুদ্ধার করেছেন, এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ইভেন্ট এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তবে পার্থকাণ্ডের মধ্যে মমতা এই নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন এই রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ অনেকের মতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা কমানোর উদ্দেশ্যেই মমতার এই দিল্লি যাত্রা। কারণ শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তিনি একান্তে বৈঠক করেন। তারপর এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকেও উপস্থিত হয়েছেন। মমতা এই দিল্লি সফরে বিরোধী দলেরগুলির সঙ্গে বৈঠক করেননি এই একটি কারণে বলেও মনে করছেন অনেকে।