'নিয়মিত মাছ খান আর ঐশ্বর্য রাইয়ের মত সুন্দর চোখ পান', মন্ত্রী উবাচ

মন্ত্রী উবাচ আমি তোমাদের ঐশ্বর্য রাইয়ের কথা বলতে চাই। তিনি ম্যাঙ্গালুরুতে সমুদ্রের তীরের কাছে থাকতেন। তিনি প্রতিদিন মাছ খেতেন।

 

Saborni Mitra | Published : Aug 21, 2023 5:40 PM IST

নিয়মিত মাছ খান তাহলেই ঐশ্বর্য রাইয়ের মত সুন্দর চোখ পাবেন। এই বিতর্কিত মন্তব্য মহারাষ্ট্রের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় কুমার গাভিতের। মন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার জেলার একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মন্ত্রী মশাই। সেই সময়ই তিনি বলেন, 'যারা নিয়মিত মাছ খায় তাদের ত্বক মসৃণ হয়।তদের চোখ ঝলমল করে।' এখানেই শেষ করেননি তিনি। আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি বা মহিলা মাছ খায় তাদের দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায়না।

এই বক্তব্যের পরই মন্ত্রী বলেন, 'আমি তোমাদের ঐশ্বর্য রাইয়ের কথা বলতে চাই। তিনি ম্যাঙ্গালুরুতে সমুদ্রের তীরের কাছে থাকতেন। তিনি প্রতিদিন মাছ খেতেন। তোমরা কি তাঁর চোখ দেখেছো? আপনাদেরও তার মত সুন্দর চোখ থাকবে।' মন্ত্রীর বক্তব্যের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

মন্ত্রীর মেয়ে হিলা গাভিত বিজেপির লোকসভার সদস্য। তিনি তাঁর বাবাকে সমর্থন করে বলেছেন, মাছে কিছু তেল থাকে যা মানুষের ত্বককে মসৃণ আর উজ্জ্বল করতে পারে। যদিও এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপি বিধায়ক। অমল মিতকারি বলেছেন, মন্ত্রীর উচিৎ এজাতীয় অর্থহীন মন্তব্য না করে রাজ্যের আদিবাসীদের সমস্যাগুলির দিকে মনোনিবেশ করা। বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে কিছুটা মজা করেই বলেছেন, তিনি নিয়মিত মাছ খান। তাহলে তাঁর চোখও অভিনেত্রী ঐশ্বর্য় রাইয়ের মত হওয়া উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন তিনি মন্ত্রী অমিত গাভিতকে জিজ্ঞাসা করবেন এই বিষয়ে তাঁর পড়াশুনা রয়েছে কিনা।

তবে এমন বিতর্কিত মন্তব্য মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই প্রথম নয়। দিন কয়েক আগেই সঞ্জয় সিরসার্ট আদিত্য ঠাকরেকে নিশানা করে বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর রূপ দেখেই তাঁকে নাকি লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন আদিত্য।। পাল্টা সিন্ডে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী সিরসাটকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী 2019 সালে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন যেখানে তিনি একজন জাতীয় মুখপাত্র ছিলেন। তিনি কংগ্রেসের কিছু দলীয় কর্মীকে পুনর্বহাল করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন যারা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। তার পদত্যাগ পত্রে, তিনি লিখেছেন যে তিনি অনুভব করেছেন যে তিনি রাস্তার শেষ প্রান্তে পৌঁছেছেন এবং পার্টিতে তার পরিষেবার আর মূল্য নেই।

Share this article
click me!