২ নম্বর জাতীয় সড়র মণিপুরের লাইফলাইন। এই রাস্তা দিয়েই মণিপুরের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ রাখা যায়। উপজাতি ঐক্য কমিটির নামে স্থানীয় বাসিন্দারাই অবরোধ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
আবারও নতুন করে উত্তেজনা মণিপুরে। তিন দিন পরে সোমবার নতুন করে মণিপুরে জাতীয় সড়ক অবোরধ করে স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের সঙ্গে ইম্ফলের সংযোগকারী ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। অবরোধকারীদের দাবি কুকি ও জো সম্প্রদায় প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিয়মিত ও নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ বিক্ষোভ চলবে বলেও জানিয়েছে। এই অবরোধের জন্য ব্যাহত হয়েছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল।
২ নম্বর জাতীয় সড়র মণিপুরের লাইফলাইন। এই রাস্তা দিয়েই মণিপুরের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ রাখা যায়। উপজাতি ঐক্য কমিটির নামে স্থানীয় বাসিন্দারাই অবরোধ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি আলটিমেটাম জারি করে ছিল। বলা হয়েছিল তিন দিনের মধ্যে অবরোধ শুরু হবে যদি ততদিন পরিস্থিতি উন্নত না হয়। স্থানীয়দের কথায় এখনও এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। সেই কারণেই এই অবরোধ বিক্ষোভ। ১৭ অগাস্ট জরি করা বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়েছিল পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা কুকি জো সম্প্রদায়ের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য না পৌঁছালে ২ ও ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ইম্ফল আর ডিমাপুর আর ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ইম্ফল আর শিলচরের মধ্যে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সংগঠনই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পথ অবরোধ করেছে।
অন্য একটি উপজাতি সংগঠন কুকি জো ডিফেন্স ফোর্সও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে কুকি জো অধ্যুষিত এলাতকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত না হলে আগামী ২৬ অগাস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধ বিক্ষোভ শুরু হবে।
গত ৩ মে থেকে হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। হিংসার কারণে এখনও পর্যন্ত দুইবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। অমিত শাহের সফরের জন্য আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে হয়েছিল। তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পরে মণিপুরে। এখনও পর্যন্ত হিংসার কারণে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তায় রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মণিপুর ইস্যু নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু স্থানীয়দের সমস্যা সমাধান হয়নি এখনও।