ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও তিনজনের। এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে চারদিন। তবুও এখনও শনাক্ত করা যায়নি শতাধিক দেহ। ভুবনেশ্বর, কটক, বালেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েই চলেছে বেওয়ারিশ লাশের ভিড়। ওড়িশা সরকার জানাচ্ছে এখনও শনাক্ত করা হয়নি ১০১টি দেহ। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃতের তালিকায় যোগ হয়েছে আরও তিন জনের নাম। ভুবনেশ্বর পুরনিগমের কমিশনার বিজয় অমৃত কুলাঙ্গে একটি বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মোট ১৯৩টি দেহ ভুবনেশ্বরের মর্গে রাখা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তার মধ্যে ৮০টি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। ৫৫টি দেহ এখনও পর্যন্ত পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রত্যেকদিন পুরনিগমের হেল্প লাইন নম্বরে কমপক্ষে ২০০টি ফোন আসে। তিনি বলেন, দেহগুলি শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও তিনজনের। এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮। অন্যদিকে ওড়িশার মর্গে বাড়ছে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা। ওড়িশা সরকার জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ১০১টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৫৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছে মৃতদেহ। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১১০০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন প্রায় ২০০ মানুষ। বালেশ্বর, কটক, ভুবনেশ্বরের নানান হাস্পাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা।
রেলের পক্ষ থেকে মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল। কীভাবে রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে অথবা এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য হেল্প লাইন নম্বর চালু করল রেল। সোমবারই ক্ষতিপূরণ দাবি করার পদ্ধতি জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল।
এই বিজ্ঞপ্তিতে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় যাঁরা নিজেদের স্বজনকে হারিয়েছেন তাঁদের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়। তবুও রেলের তরফ থেকে মৃতের পরিবারের জন্য এবং আহতদের আর্থক সহায়তার জন্য কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।