টিকা নিয়েও রেহাই নেই। টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪০ হাজার। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনাকালে কেরলে উলটপুরাণ। বর্তমানে কোভিড ১৯ এ দৈনিক সংক্রমণ সবথেকে বেশি কেরলে। তার ওপর সামনে এসেছে এক নতুন তথ্য।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সূত্রের খবর এই রাজ্যে এমন ৪০ হাজার করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে যাঁদের করোনাভাইরাসের দুটি টিকাই দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে কেরল প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের। কেন্দ্রীয় সরকার কেরল সরকারে অবিলম্বের জিমোং সিকোয়েন্সিংএর জন্য সমস্ত তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে।
ভ্যাকসিন বা পূর্ববর্তী সংক্রমণ দ্বারা প্রদত্ত অনাক্রম্যতা থেকে রক্ষা পেতে ভাইরাসটি যদি নতুন করে রূপান্তরিত তাহলে তা রীতিমত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধিকর্তা। সূত্রের খবর নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা ডেল্টা রূপের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। প্রথমে ভারতেই পাওয়া গিয়েছিল ডেল্টা স্ট্রেই। বর্তমানে বিশ্বে অধিকাংশ দেশই করোনার এই নতুন রূপের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
Work From Home আর নিরাপদ নয়, কর্মীদের বেতনে কোপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে google
'খেলা হবে দিবস' পালনে তীব্র আপত্তি, ১৬ অগাস্ট ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পথে বিজেপি
কেরলে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পাঠানমথিত্তা জেলায়। এই জেলায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৭৪ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪২ জন। চিকিৎসকরা জানিছেন, করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বিরল কিন্তু অসম্ভব নয়। প্রথম সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাঁরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও টিকার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের কথায় করোনা টিকার প্রভাবে হাসপাতালে ভর্তি আর মৃত্যুর মত ঘটনা অনেকটাই এড়ানো গেছে। কিন্তু তারপরেও কেরলেন আক্রান্তের সংখ্যা টিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।