টিকার দৌড় এবার সামিল হল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে তাদের টিকা।
করোনাভাইরাসের টিকা যুদ্ধে এবার বিজনেজ টাইকুন মুকেশ আম্বানিও। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্স কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রিলায়েন্সকে তাদের তৈরি দুটি ডোজের কোভিড ১৯ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা অনুমতি দিয়েছে। সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে দীর্ঘ আলোচনার পরেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদ পত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে রিলায়েন্স তার প্রস্তাবিত দুটি ডোজের কোভিড ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তারই ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে খতিয়ে দেখা হবে রিলায়েন্সের টিকা কতটা নিরাপদ। টিকার সহনশীলতা, ফার্মাকোকিনেটিক্স ও ওষুধের গুণাবলীও খতিয়ে দেখা হবে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক ড্রাগ কন্ট্রোলারের এক অধিকর্তা জানিয়েছে, প্রথম ধাপের ট্রায়াল চলবে ৫৮ দিনের জন্য। এই ট্রায়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই রিলায়েন্স দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে রিলায়েন্সে লাইফ সায়েন্স বা রিলায়েন্স গ্রুপ এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বর্তমানে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোট ৬টি টিকাকে। যার মধ্যে রয়েছে- সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ার স্পিটনিক ভি, মার্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসন আর জাডিয়াস ক্যাডিলার জাইকভ-ডি। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত শিশুদের জন্য কোনও ভ্যাকসিন অনুমোদন করা হয়নি। তবে স্কুল খোলার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষিকাদের দ্রুত টিকাকরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। য়ার জন্য ইতিমধ্যেই ২ কোটি টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ছবিতে দেখুন জালিয়ানওয়ালাবাগের নতুন রূপ, শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতেই হবে শুভসূচনা
তবে কি পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে আসছেন সোনু সুদ, জল্পনা উস্কে দিল কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকাকরণে একটি মাইলফলক পার করল ভারত। এখনও পর্যন্ত দেশের ৬১ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষকেই টিকা দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেন ভারতের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষকেই টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।