করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার বিল দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার বিল নিয়ে এবার সরগরম জাতীয় রাজধানী দিল্লি। বিলটি অবশ্য সাধারণ কোনও মানুষের নয়। আপ নেতার চিকিৎসার বিল। 
 

Asianet News Bangla | Published : Sep 9, 2021 3:26 PM IST / Updated: Sep 09 2021, 08:58 PM IST

হাসপাতালের বিল দেখেই রোগীর আবার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। দিল্লির হাসপাতালে তেমনই একটি বিলের কপি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস নেতা একটি দিনে কেন্দ্রের পাশাপাশি দিল্লি সরকারকেও নিশানা করেছেন। অন্যদিকে আম আদমি পার্টির নেতা নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। দিল্লির হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ চার মাস ভর্তি ছিলেন এক রোগী। সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক কোটি ৮ লক্ষ টাকার বিল ধরায়। 

করোনা আক্রান্তের এই বিলই জাতীয় রাজনৈতিতে তরজার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রককে একটি চিঠি লিখিছেন। সেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন কেন একজন রোগীর কাছ থেকে করোনার চিকিৎসার জন্য ১কোটি ৮ লক্ষ টাকা নেোয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নিশানা করেছেন দিল্লি সরকারকে। তিনি বলেছেন, দিল্লি সরকারেও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি। পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবা আর ওষুধের ওপর একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা জরুরি বলেও দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

BRICS: সন্ত্রাস দমনে কড়া পদক্ষেপের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, উঠল আফগানিস্তান প্রসঙ্গ

দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, রফতানিকারদের বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা

প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার আগে মেনে চলুন এই ১০টি নিয়ম, তাহলে কিছুতেই খালি হাতে ফিরতে হবে না

৭ সেপ্টেম্বর বিষয়টি সামনে আস। সেই সময় আম আদমি পার্টির নেতা সোমনাথ ভারতী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে হাসপাতালের বিলের কথা জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন ম্যাস্ক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর করোনা চিকিৎসার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে এই বিশাল অঙ্কের বিল ধরানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। টুইটারে ম্যাক্স হাসপাতালকেও ট্যাগ করেছিলেন তিনি। যদিও তিনি জানিয়েছেন নিজের সঞ্চয় ভেঙে হাসপাতালের বিল মিটিয়েছেন তাঁরা। 

শুধু দিল্লি নয়। এই দেশে হেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে একাধিকবার আক্রান্ত ও তাদের পরিবাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালের খামখেয়ালি বিলের জন্য ঘটিবাটি বিক্রি করতে হচ্ছে অনেককে। 

Share this article
click me!