
ভারতের উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল রাজনীতির প্রয়োজন রয়েছে, কোনও শর্টকাট রাজনীতি নয়। রবিবার মহারাষ্ট্রের এই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মহারাষ্ট্রের প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন। তিনি আরও বলেছেন উন্নয়নের বিষয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সুযোগগুলি নষ্ট করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন গত আট বছর ধরে দেশে পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তাতে লেগেছে মানবিক ছোঁয়া। নাগপুর-মুম্বই সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ উদ্বোধনের পরই মোদী এই কথা বলেন।
নাগপুর-মুম্বই সমৃদ্ধি এক্সপ্রেস নাগপুরের সঙ্গে আহমেদনগরকে যুক্ত করবে। একই সঙ্গে নাগপুরের শিরডি মন্দির শহরকেও সংযুক্ত করবে। নাগপুর-বিলাশপুর বব্দে ভাপত এক্সপ্রেস ট্রেনেরও উদ্বোধন করেন তিনি,একই সঙ্গে নাগপুর মেট্রের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ' উন্নত ভারত বাস্তবে পরিণত হতে পারে ঐক্যবদ্ধ শক্তি, অগ্রগতি ও সমস্ত রাজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে । যখন আমাদের উন্নয়নের প্রতি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তখন সুযোগগুলিও সীমিত হয়। গত সাত বছরে আমরা সকলের সমর্থন, আস্থা আর প্রচেষ্টার কথা বলেছি। যা মানসিকতা আর দেশের পদ্ধতির পরিবর্তন করেছে।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন, শর্টকাট রাজনীতি, করদাতাদের টাকা লুঠপাট, মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখলকারী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নগপুরের মানুষকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন শর্টকাট রাজনীতি কখনও দেশের উন্নয়নের পথ হতে পারে না। একই সঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। জনগণের উচিত এই ধরনের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রকাশ্যে আনা। এদিন প্রধানমন্ত্রী দেশের অন্যান্য রাজনীতিবিদদের কাছেও শর্টকাট রাজনীতির পথ ছেড়ে উন্নত ও স্থিতিশীল রাজনীতির পথে হাঁটার চেষ্টা করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন উন্নয়নের মাধ্যমেই নির্বাচনে জয়লাভ করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আগে করদাতাদের টাকায় দুর্নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে নষ্ট হত। তিনি বলেন দেশের ভবিষ্যৎ প্রস্তুত করার জন্য তাঁর সরকার দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। মোদী তাঁর উদ্বোধন করা ১১টি প্রকল্পকে মহারাষ্ট্রের রত্ন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন ডবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যের উন্নয়নের স্টিয়ারিং ধরেছে। এদিন মোদী গোসিখুর্দ বাঁধ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে আগের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। বলে আগের সরকারের উদাসীনতার জন্য এই বাঁধ নির্মাণে ৩০ বছরের বেশি সময় লেগেছে।
আরও পড়ুনঃ