সংক্ষিপ্ত

প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছে। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে টেট পরীক্ষা দাবি করলেন ব্রাত্য বসু। টেট পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ জানালেন শুভেব্দু অধিকারী।

সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে টেট পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেমনই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কিছু মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হেয় করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে জাল প্রশ্নপত্র প্রচার করেছিল। পরীক্ষা পক্রিয়াকে ব্যহত করার চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলে টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলেও দাবি করেছেন ব্রাত্য বসু।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্পন্সর ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতেপ্রায় ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য প্রায় ৭ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় ১৪৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬ বছরের ব্যবধানে হল প্রাথমিক শিক্ষকদ নিয়োগের যোগ্যতা পরীক্ষা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সংস্ত কেন্দ্র পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি পরীক্ষা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁসের কোনও ঘটনা ঘটেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রশ্নগুলি শেয়ার করা হয়েছে সেগুলি ভুয়ো বলেও দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, লক্ষ লক্ষ চাকরি প্রার্থী যারা প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের পরীক্ষা বানচাল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সম্মানহানি করার জন্য এজাতীয় কাজ করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে ব্রাত্য বসু ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে এদিন ব্রাত্য বসু কোনও ব্যক্তি বা কোনও রাজনৈতিক দলের নাম বলেননি। তিনি বলেছেন, যে WBBPE হোয়াটসঅ্যাপে জাল বিষয়বস্তু প্রচারের বিষয়ে সাইবার ক্রাইম সেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।

পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলের কাছে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, টেট পরীক্ষায় যাতে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পায় সেদিকেই নজর দিতে হবে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী টেট পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি টেট পরীক্ষা ব্যহত করার পক্ষে নয়। এটি সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, তিনি অনেক চাকরিপ্রার্থী বা পরীক্ষার্থীর থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, টাকা দিলে পরীক্ষার আগেই তাদের প্রশ্নগুলি দিয়ে দেওয়া হবে। প্রশাসন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন যদি কারও অভিযোগ থাকে তাহলে সেই বিষয়ে প্রার্থ শিক্ষা পর্যদকে তা জানানো উচিত।

২০১৭ সালে শেষবারের মত টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তবে তার আগে ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তাতে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে অনেক চাকরি প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগও উঠেছে। তার তদন্ত করছে ইডি। জেলে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য।