মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাইসেন্সের অধীনে সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে নোভোভ্যাক্স। কোভ্যাক্সের অংশ হিসেবেই এটি পরিচিত।
শুক্রবার বড়সড় স্বীকৃতি পেল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) শুক্রবার সেরামের কোভোভ্যাক্স টিকাকে (Covovax) স্বীকৃতি দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে বলে খবর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাইসেন্সের অধীনে সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে কোভোভ্যাক্স। কোভ্যাক্সের অংশ হিসেবেই এটি পরিচিত।
ডব্লিউএইচও-এর ভ্যাকসিনের প্রধান মারিয়াজেলা সিমাও বলেছেন, নতুন ভেরিয়েন্টের উদ্ভবের পরেও, ভ্যাকসিনগুলি SARS-COV-2 থেকে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে মানুষকে রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হাতিয়ারগুলির মধ্যে একটি। তাই ভ্যাকসিনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। যার মধ্যে কোভোভ্যাক্স একটি। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য, বিশ্বের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম দেশগুলির কাছে ভ্যাকসিনের মাত্রা পৌঁছে দেওয়া। বিশ্বের ৪১টি দেশ তাদের জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে টিকা দিতে পারেনি। ৯৮টি দেশ এখনও ৪০ শতাংশে পৌঁছতে পারেনি।
এদিকে সেরাম জানিয়েছে Covovax এর দুটি ডোজ প্রয়োজন। এটি দুই থেকে ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস রেফ্রিজারেটেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। এর আগে সেরাম জানিয়েছিল, আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসবে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এমনই দাবি করেছেন সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা। পুনাওয়ালা এদিন বলেন শিশুদের জন্য নোভ্যাক্স COVID-19 ভ্যাকসিন চালু করার পরিকল্পনা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দু বছর থেকে ১৭ বছর বয়েসীদের জন্য ৯২০ টি বিষয়ে ন্যানো পার্টিকেল ভ্যাকসিন (লিকুইড)-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করা হচ্ছে।
পুনাওয়ালা বলেন শিশুদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খুব বেশি হার দেখা যায়নি। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সেরাম আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে আসবে। তিন বছরের মধ্যে শিশুদের তা দেওয়া যাবে। এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট নিরাপদ ও কার্যকর। কেন্দ্রের ঘোষণার পরেই তা বাজারে নিয়ে আসা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুনাওয়ালা।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড (NEGVAC) এবং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) ১৮ বছরের কম বয়সদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে। ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেক COVAXIN-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। এই বিষয়ে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)-এর কাছে নিরাপত্তা এবং ইমিউনোজেনিসিটি ডেটা জমা দিয়েছে।