Sextortion: যৌন নির্যাতনের ফাঁদে ৭১ বছরের চিকিৎসক, খোয়ালেন প্রায় ৯ লক্ষ টাকা

দীর্ঘদিন ধরেই কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করেছেন চিকিৎসক। তারপরই তিনি দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন। এই ঘটনার তদন্ত নেমেই দিল্লি পুলিশ রাজস্থান থেকে দুইভাইকে গ্রেফতার করেছে।

 

Saborni Mitra | Published : Mar 7, 2024 3:15 PM IST

যৌন নির্যাতনের ফাঁদে দিল্লির চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, ৭১ বছর বয়সী একই সঙ্গে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। প্রায় মধ্যরাতে দিল্লির চিকিৎসকের কাছে একটি ভিডিও কল আসে। সেই সময় চিকিৎসক ভেবেছিলেন তাঁকে কোনও অসুস্থ মানুষ ফোন করেছেন।সাহায্য চাইছেন। তাতেই ভিডিও কলটি রিসিভ করেন তিনি। সেখানে তিনি এক মহিলা প্রায় নগ্ন অবস্থায় তাঁকে ফোন করেছেন। ভিডিও কলটি রেকর্ডিং করা হয়েছে। আর সেই রেকর্ডিং ভিডিওকলটি নিয়ে মহিলা ও তার সঙ্গীরা তাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। সেই চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রবীণ চিকিৎসক প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। অবশেষে চক্রের থেকে মুক্তি পেতে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

দীর্ঘদিন ধরেই কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করেছেন চিকিৎসক। তারপরই তিনি দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন। এই ঘটনার তদন্ত নেমেই দিল্লি পুলিশ রাজস্থান থেকে দুইভাইকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর ধৃতরা একটি যৌন নির্যাতনের ব়্যাকেট চালাত। তারাই প্লেবুক ব্যবহার করে চিকিৎসকের মত আরও ২৫ জনকে ব্ল্যাকমেল করেছে বলে অনুমান।

দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, ডাক্তার পূর্ব জেলার সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগে বলেছিলেন একটি গ্যাং থেকে বারবার ভিডিও কল করে ও ব্ল্যাকমেলের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার একটি ভিডিও কল তাদের কাছে রয়েছে। যা সোশ্যাল মিডিয়া ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল. তিনি পুলিশকে আরও জানিয়েছেন এপর্যন্ত প্রায় ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু চক্রান্তকারীরা এখও ভিডিও কল করা বন্ধ করেনি। পাশাপাশি অব্যাহত রয়েছে হুমকিও। তারপরই দিল্লি পুলিশ প্রতারণা, অপরাধমূলক হুমকি ও তোলাবাজি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, 'আমরা যে নম্বরগুলি থেকে ডাক্তারকে কল করা হয়েছিল সেগুলিকে ট্রেসিং এবং জরিপ করা শুরু করেছিলাম। অবশেষে আমরা রাজস্থানের একজন ব্যক্তির লিড এবং একটি পরিচয় পেতে সক্ষম হয়েছি। তথ্যদাতারা আমাদের এই তথ্য যাচাই করতে সাহায্য করেছিল এবং আমাদের বলেছিল যে ব্যক্তিটি একটি চাঁদাবাজির র‌্যাকেট। আমরা গত সপ্তাহে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছি।' তিনি আরও বলেছেন, ধৃতদের কাছ থেকে সাতটি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যারমধ্যে একটিতে ছিল মূল ভিডিও। উদ্ধার করা হয়েছে তোলাবাজির জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী, ও সিমকার্ড। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের একজন হল ৩৯ বছরের আব্দুল রেহমান ও তার ভাই আমির খান (২৬)। আব্দুলের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখার মাধ্যমে তারা টাকা আদানপ্রদান করত। গ্রাহকের কেওয়াইসি না দিয়েই ডিজিটাল ব্যাঙ্ক অ্যাসাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল। এই অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখার পরই পুলিশের অনুমান প্রায় ২৫ জন প্রতারিতের নাম উদ্ধার করতে পেরেছে।

 

Share this article
click me!