উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার মনঝনপুর থানা এলাকার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সিউড়ে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বাড়ির নিষেধ না মেনেই প্রেমের সম্পর্ক। পরিনটি হল ভয়াবহ। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী। গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কেই জড়িয়ে পরেন উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার মনঝনপুর থানা এলাকার এক নাবালিকা কিশোরী। তবে মেয়ের এই প্রেম মেনে নিতে পারেননি পরিবারের লোকজন। নিষেধও করেছিলেন মেয়েকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। এই কথা জানতে পারতেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন খোদ মা। কথা না শোনায় নিজের মেয়েকেই কিপিয়ে খুন করলেন মা। মাকে সাহায্য করলেন কিশোরীর অন্যান্য বোনেরা।
উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার মনঝনপুর থানা এলাকার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সিউড়ে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্ত মহিলা শিবপটী তাঁর ১৫ বছরের কন্যাকে খুন করে দেহ গ্রামেরই এক কুয়োতে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় মেয়েকে খুন করে নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। বোনকে খুন করতে মাকে সাহয্য করেছিলেন অন্য বোনেরাও।
কী ঘটেছিল?
গত ১৪ অক্টোবর কন্যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিতহ কিশোরীর মা। ২ অক্টোবর থেকে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তবে কিছুদিন পরে গ্রামের কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় একটি মৃতদেহ। সেই দেহ ওই কন্যার বলেই সনাক্ত করেন নিখোঁজ মেয়ের মা। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল মাত্র ১৫ বছরের এই কিশোরীর? এই তদন্ত করতে ফগিয়ে কেউটে উঠে এল পুলিশের হাতে। পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্ত মহিলা স্বীকার করেছেন যে নিজের নাবালিকা মেয়েকে তিনিই খুন করেছেন। গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করত মেয়েটি। বারবার বারন করা স্বত্ত্বেও কথা শোনেনি। সেই কারণেই ধারালো অস্ত্র, লাঠি দিয়ে মেরে এবং কুপিয়ে কিশোরীকে খুন করা হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেফতার করা হয়, খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। খোঁজ চলছে অভিযুক্তের পরিবারেরও।
আরও খবরের জন্য আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।