একেবারে জনশূণ্য পুরী! নির্জন ওড়িশার জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলি, চলছে কড়া পুলিশি নজরদারি
ঘূর্ণিঝড় 'দানা' আসার আগেই ওড়িশার জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলি পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে পর্যটকদের স্থান ত্যাগের পর এখন সেখানে শুধুমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য এবং পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
deblina dey | Published : Oct 24, 2024 9:25 AM IST / Updated: Oct 24 2024, 02:59 PM IST
ওড়িশার জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে, সোমবার থেকে এই জনপ্রিয় সৈকতগুলোর দৃশ্য বদলে যেতে থাকে। বুধবারের মধ্যে সেই দৃশ্য পাল্টে যায়।
সমুদ্র সৈকত জনশূণ্য হয়ে ওঠে। শুধু সমুদ্রের ঢেউ গর্জন করছে এবং সৈকতে আঘাত করছে। পর্যটক নেই, কোলাহল নেই। পুরী, গোপালপুর, পারাদ্বীপ, চণ্ডীপুরের মতো জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত ঘূর্ণিঝড় 'দানা' আসার আগেই জনবসতি বিহীন হয়ে গেছে।
এখন শুধু রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) সদস্যরা এই সৈকতে রয়েছে। কড়া পুলিশি নজরদারিও চলছে।
'দানা' মোকাবেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই ওড়িশার পর্যটন স্থান ছেড়েছেন পর্যটকরা।
সোমবার, রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে যে সমস্ত পর্যটকদের মঙ্গলবারের মধ্যে ওড়িশা ছেড়ে যেতে হবে। তারপর থেকে পর্যটকরা রাজ্য ছাড়তে নারাজ।
জনপ্রিয় পর্যটন স্থান এবং পুরী, গোপালপুর এবং চাঁদিপুরের মতো সমুদ্র সৈকতগুলি মঙ্গলবারের মধ্যে প্রায় ফাঁকা ছিল।
ফলে 'দানা'র ভয়ে দু'দিনের মধ্যেই ওড়িশার পর্যটন স্পট ও সমুদ্র সৈকত পুরোপুরি বদলে গেছে।
এই সৈকতগুলো এখন পর্যটকদের পরিবর্তে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং পুলিশের দখলে।
গঞ্জাম জেলার গোপালপুর ও সুনাপুর সমুদ্র সৈকত বুধবার থেকে তিন দিনের জন্য পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জগৎসিংপুর জেলা প্রশাসনও পারাদ্বীপ ও শিয়ালী সৈকতে পর্যটকদের নিষিদ্ধ করেছে।
'দানা'র কারণে সমুদ্রের ঢেউ ৭-৮ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে। ফলে ওই সময় কোনও পর্যটক যাতে সমুদ্র সৈকতে যেতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।