মন্দির-মসজিদ, হাসপাতাল বা যে-কোনও দফতরে যখন ধর্ম এবং জাতি নির্বিশেষে সকলের প্রবেশের অধিকার রয়েছে, সেখানে হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও কেন দলিতদের জন্য আলাদা শ্মশানঘাট তৈরি করা হবে সেই প্রশ্নই তুলল হাইকোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে এদিন সওয়াল তোলা হয় যে, দলিতরা তো হিন্দু তবে তাও কেন তাঁদের জন্য আলাদা করে শ্মশান নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও এই প্রশ্নের ইস্যুটি ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি এস মণিকুমার এবং সুব্র্যহ্মণ্যম প্রসাদের একটি বেঞ্চ এদিন ভেলোর কালেক্টরের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, কেন একজন দলিতের মৃতদেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে জলে ফেলতে হবে এবং কেন তাঁদের মৃতদেহ শ্মশানে সৎকারের ব্যবস্থা করা যাবে না, যেখানে তারা হিন্দু- এই প্রশ্নও তোলা হয় আদালতের তরফে।
শেষ হল এক অধ্যায়, প্রয়াত দেশের প্রথম মহিলা ডিজিপি
ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা, অতিরিক্ত জল ছেড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করল পাকিস্তান
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল যেখানে দেখা যায় যে, একটি মৃতদেহ, দড়ির সাহায্যে একটু সেতুর ওপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে যায় হইচই। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে জানা যায় যে, গোড়া হিন্দুরা ওই দলিতের সৎকার করতে বাধা দেয়। আর সেইকারণেই একটি সেতুর ওপর থেকে দড়ি বেধে মৃতদেহটি নীচে ফেলে দেওয়া হয়।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, এবার দেশের বৃহত্তম সুড়ঙ্গ তার নামেই নামাঙ্কিত হওয়ার পথে
এইরকম বৈষম্যমূলক আচরণের পাল্টা হিসাবে সংবিধানের ১৪ ধারার প্রসঙ্গ তোলে আদালত। আদালতের তরফে বলা হয়, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায়ে দেশের সমস্ত নাগরিককে আইনের চোখে সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী ২৮ অগাস্টের মধ্যে কালেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।