দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১১০০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও তিনজনের। এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮। অন্যদিকে ওড়িশার মর্গে বাড়ছে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা। ওড়িশা সরকার জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ১০১টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৫৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছে মৃতদেহ। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১১০০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন প্রায় ২০০ মানুষ। বালেশ্বর, কটক, ভুবনেশ্বরের নানান হাস্পাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা।
রেলের পক্ষ থেকে মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল। কীভাবে রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে অথবা এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য হেল্প লাইন নম্বর চালু করল রেল। সোমবারই ক্ষতিপূরণ দাবি করার পদ্ধতি জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল।
এই বিজ্ঞপ্তিতে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় যাঁরা নিজেদের স্বজনকে হারিয়েছেন তাঁদের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়। তবুও রেলের তরফ থেকে মৃতের পরিবারের জন্য এবং আহতদের আর্থক সহায়তার জন্য কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে ক্ষতিপূরণের দাবি করবেন?
মৃতের পরিবারের সদস্যেরা কিংবা আহতেরা বালেশ্বর স্টেশনে অথবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ফোন করতে পারেন বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরে - 8249591559 7978418322 9439981999 অথবা ফোন করতে পারেন রেলের নম্বরেও - 64810
ক্ষতিপূরণের জন্য কী কী নিয়ম মানতে হবে?
নির্দিষ্ট নথিপত্র দেখিয়ে রেলের কাছে প্রমাণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবারই ফের ওড়িশা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটক এবং ভুবনেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজাও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাংলার ৮১ জন মানুষের। আহত আরও বেশি। মঙ্গলবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতেই ফের কটক যাত্রা মমতার। ওড়িশার বালেশ্বেরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার অভিযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি তিনি সিবিআই তদন্ত নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন 'মানুষ আসল ঘটনা জানতে চাইছে। এখন সত্যু লুকিয়ে রাখার সময় নয়।' সোমবার বালেশ্বর থেকে সড়ক পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়া রাজ্যের চার যাত্রীর দেহ নিয়ে আসা হয়। কলকাতায় প্রবেশের আগেই দ্বিতীয় হাওড়া বিজ্রের ওপর দাঁড়িয়ে মমতা নিহত যাত্রীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দুর্ঘটনায় নিহত চার জন হলেন, দক্ষিণ ৪ পরগানর বাসিন্দা। নিহতরা হলেন কুলপির অনিমেষ মণ্ডল, সাগরের স্বপ্না প্রামানিক, বিষ্ণুপুরিরের বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, বারুইপুরের সৌরভ রায়। মমতা এদিনও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।