সহকর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বাহানাগা স্টেশনের ম্যানেজার। অন্যদিকে তদন্ত শেষের আগে কোনও রকমের মন্তব্য করতে রাজি নন সহকারী স্টেশন ম্যানেজার।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কাটছে না বিতর্ক। কীভাবে সিগন্যালিং-এর এত বড় ভুল হল? কার দোষে এত বড় দুর্ঘটনা? এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে পয়েন্টের ভুলের জন্য করমণ্ডল লুপ লাইনে চলে যায়। উল্লেখ্য ওই দিন স্টেশনে প্যানেল বোর্ড নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন স্টেশনে প্যানেল বোর্ড নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী স্টেশন ম্যানেজার এস বি মোহান্তি। সেদিন অফিসে ছিলেন না স্টেশন ম্যানেজার এস কে পট্টনায়ক। এই পরিস্থিতিতে সহকর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বাহানাগা স্টেশনের ম্যানেজার। এই প্রসঙ্গে এস কে পট্টনায়ক স্পষ্টই জানিয়েছেন,'দুর্ঘটনার দিন দায়িত্বে ছিলেন সহকারী এস বি মোহান্তি। প্যানেলে কোথাও কোনও ভুল ছিল না। এই ঘটনায় ওঁর কোনও ভুল নেই।' অন্যদিকে তদন্ত শেষের আগে কোনও রকমের মন্তব্য করতে রাজি নন সহকারী স্টেশন ম্যানেজার।
রবিবার রাতে বালেশ্বর জেলার বাহানাগা স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে চলল প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার থেকেই বালেশ্বরে দুর্ঘটনা স্থলে ছিলেন তিনি। রবিবার রাত ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ দুই লাইনে ট্রেন চালু হয়। প্রথম ট্রেন চলার পরে হাত জোড় করে ভগবানকে ধন্যবাদ দিতে দেখা যায় রেলমন্ত্রীকে। টুইট করে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন রেলমন্ত্রী বলেন,'দুর্ঘটনায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারব না। কিন্তু উদ্ধারকারী দল এবং রেলকর্মীরা যেভাবে মনের জোর রেখে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, লড়াই করলেন, তাঁদের সকলকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।' প্রসঙ্গত, এর আগেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখবেন। কে বা কারা এর জন্য দায়ী তাও জানা গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন,'ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত আমাদের প্রথম কাজ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা।' শুধু তাই নয়, রবিবার ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাবে রেলমন্ত্রী স্পষ্ট জানান,'কবচের এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যেটা আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। উনি এই বিষয় যতটা জানেন তার উপর ভিত্তি করেই বলেছেন। কিন্তু বিষয়টা সেরম নয়। এক্ষেত্রে পুরোটাই পয়েন্ট মেশিনের উপর নির্ভর করছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং-এর উপর নির্ভর করছে। মূলত ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং-এ পরিবর্তনের কারণেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। কারা এই কাজ করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা ঠিক নয়।'