ঘটনার দিন মহিলা ছিলেন নাকি তার স্ত্রী, দিল্লির আদালত বেকসুর খালাস দিল অভিযুক্তকে

 

  • ধর্ষণ করে বেকসুর খালাস পেল অভিযুক্ত
  • রায় দিল দিল্লির একটি আদালত
  • ঘটনার সময় মহিলা ছিল অভিযুক্তের স্ত্রী
  • জানিয়ে দিল রাজধানীর আদালত

Asianet News Bangla | Published : Jan 23, 2020 8:27 AM IST / Updated: Jan 23 2020, 04:50 PM IST

তার বিরুদ্ধে উঠেছিল ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। কিন্তু সেই ব্যক্তিকেই বেকসুর খালাস দিল দিল্লির একটি আদালত। জানিয়ে দিল এটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ ঘটনার সময় নির্যাতিতা ছিলেন তার বিয়ে করা স্ত্রী।

২০১৬ সালের ৫ জুলাই তাকে  ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে আদালতে অভিযোগ করেন এক মহিলা। এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে অতিরিক্ত সেশন জাজ উমেদ সিং গেরেওয়াল বলেন,  এটি কখনই ধর্ষণ বলে গ্রাহ্য হতে পারে না। কারণ ঘটনার দিন মহিলার পরিচিতি ছিল অভিযুক্তের স্ত্রী হিসাবেই। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, বলিউডকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান

"এটা স্পষ্ট, অভিযুক্তের সঙ্গে মহিলার বিয়ে হয়েছিল ঘটনার অনেক আগে ২০১৫ সালে দোসরা নভেম্বর। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি ধর্ষিত হয়েছিলেন ২০১৬ সালের ৫ জুলাই, আইনত তিনি সেইসময় অভিযুক্তের স্ত্রী ছিলেন।" নিজের পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানায় আদালত। এরপরেই বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।

 জানা গেছে, পঞ্জাবে ওই ব্যক্তির সঙ্গেই থাকতেন মহিলা। চুরির দায়ে সঙ্গী জেলে যেতেই তাকে না জানিয়ে দিল্লি চলে আসে সে। এরপর খবর পেয়ে ওই মহিলার খোঁজে দিল্লি আসে অভিযুক্ত। ফের দুজনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। এরমধ্যে ব্যক্তিটি মহিলার থেকে ২ লক্ষ টাকা চুরি করে বলে অভিযোগ। তারপরেই অভিযুক্তের সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করে মহিলা।

আরও পড়ুন: দেরি করেছে তেজস, ৬৩০ জন যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেল

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পরে প্রায়শই ওই মহিলার কাছে আসত অভিযুক্ত এবং তার  সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করে। 

কোর্ট পর্বেক্ষণ করে, পঞ্জাব ও দিল্লিতে থাকাকালীন মহিলার সম্মতিতেই দুজনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। মহিলার দুই লক্ষ টাকা চুরি যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। 
 

Share this article
click me!