সাজা ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, 'সব দিক বিবেচনা করে, বয়স ও অসুস্থতা জনিত কারণগুলি বিবেচন করে আমি অতিরিক্ত শাস্তি দিতে আগ্রহী নই।
২৩ বছর পুরনো মানহানি মামলায় সমাজকর্মী মেধা পাটেকরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লির আদালত। পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে। সোমবার দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে মামলাহানি মামলার সাজা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি মেধা পাটকর যাতে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন তার জন্য এক মাস সময়ও দিয়েছেন।
এদিন সাজা ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, 'সব দিক বিবেচনা করে, বয়স ও অসুস্থতা জনিত কারণগুলি বিবেচন করে আমি অতিরিক্ত শাস্তি দিতে আগ্রহী নই।' যদিও সাজা মুকুবের আবেদন করেছিলেন মেধা। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে।
দিল্লির বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার দায়ের করা মানহানির মামলায় ২৩ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হলেন মেধা পাটেকর। ২৪ মে আদালত পর্যবেক্ষণ করেছিল যে পাটকরের সাক্সেনাকে "কাপুরুষ" বলে অভিহিত করা এবং হাওয়ালা লেনদেনে তার জড়িত থাকার অভিযোগ করা বিবৃতিগুলি কেবলমাত্র মানহানিকরই নয় বরং তার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাগুলিকে উস্কে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়াও, অভিযোগকারী গুজরাটের জনগণ এবং তাদের সম্পদকে বিদেশী স্বার্থের কাছে "বন্ধক" করার অভিযোগটি তার সততা এবং জনসেবার উপর সরাসরি আক্রমণ ছিল, এটি বলেছিল। ৩০ মে সওয়াল জবাব শেষ হয়েছিল। ২০০০ সাল থেকেই এই মামলা চলছিল। সাক্সেনা তখন 'কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিজ' নামে আহমেদাবাদের একটি এনজিওর প্রধান ছিলেন, তিনি ২০০১ সালে একটি টিভি চ্যানেলে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা এবং একটি মানহানিকর প্রেস বিবৃতি জারি করার জন্য পাটকরের বিরুদ্ধে দুটি মামলাও দায়ের করেছিলেন। পাল্টা নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের বিজ্ঞাপনের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মেধা পাটেকর।