দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তৎপরতায় পুলিশের জালে ধরা পড়লো লরেন্স বিষ্ণোই এবং জিতেন্দর গোগির গ্যাং এর দুই সক্রিয় সদস্য রাজেশ ও অঙ্কিত। অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তৎপরতায় পুলিশের জালে ধরা পড়লো লরেন্স বিষ্ণোই এবং জিতেন্দর গোগির গ্যাং এর দুই সক্রিয় সদস্য রাজেশ ও অঙ্কিত। এই দুজনকেই রাজধানী থেকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারিকৃত ওই দুই অভিযুক্তর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭.৫৬ এম এম পিস্তল এবং আটটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে ধৃত শার্প শ্যুটার রাজেশ হরিয়ানার বাসিন্দা। এর আগেও হত্যার চেষ্টা, অপহরণ, মুক্তিপণ, ডাকাতি ও অস্ত্র রাখার অপরাধের ২৪টিরও বেশি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। বর্তমানেও তিনি হত্যা, খুনের চেষ্টা ও ডাকাতির মতো ঘৃণ্য নয়টি মামলার ওয়ান্টেড আসামি। অনেকদিন ধরেই পুলিশ খোঁজ করছিলো তার ।গত তিন মাস ধরে তার বিভিন্ন আস্তানায় রেডও করে পুলিশ কিন্তু কোনোভাবেই তার নাগাল না পাওয়ায় অন্য পন্থা বের করে পুলিশ ।
এর আগেও রাজেশ এবং অঙ্কিতকে খোঁজার জন্য দিল্লির ওই স্পেশাল সেলের অফিসাররা সোনিপত, পানিপত, ঝাজ্জার, রেওয়ারি, কুরুক্ষেত্র, রোহতক (হরিয়ানা), পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানের বেশ কয়েকটি জায়গাতেও গোপনে অভিযান চালায়। কিন্তু কিছুতেই কিছু না হাওয়ায় শেষমেশ ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা করে পুলিশ। আর সেই ফাঁদেই কাবু দুষ্কৃতী রাজেশ ও অঙ্কিত ।
১৮ ই নভেম্বর দিল্লি পুলিশ খবর পায় যে রাজেশ আলিপুর জিটি রোডের শনি মন্দিরে গা ঢাকা দিয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ রেড করলে অভিযুক্ত ফের পুলিশের হাত ফস্কে বেরিয়ে যেতে পারে তাই এবার একেবারে বলিউডি কৌশলে ফাঁদ পাতে পুলিশ। রাত যখন প্রায় ১১.২০ তখন পুলিশের আধিকারিকরা ছদ্মবেশে ঘোরাফেরা করতে থাকে ওই অঞ্চলের আসে পাশে। এবং নজর রাখতে থাকে শনি মন্দিরের উপর। পুলিশের বিশেষ ওই দল সন্তর্পনে ঘিরে রাখে অঞ্চলটি। এরপর বিশনোই রাতে সেখান থেকে বেরোলেই পুলিশ চড়াও হয় তার উপর। পুলিশকে দেখতে পেয়ে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে শুরু করে সে। সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর রাজেশ যখন বুঝতে পারে যে পালানো তার পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তখন পুলিশের হাতে ধরা দেয় সে।
গ্রেপ্তারির পর চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ। এই জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বলেন যে দীনেশ করালিয়া এবং অঙ্কেশ মুন্ডকা নামে দুই গ্যাং লিডার তাকে নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার সমস্যাগুলি সমাধান করতে। এই জন্যই সেদিন তিনি ওই অঞ্চলের দুই গ্যাং লিডার রাজবীর ওরফে গুড্ডু এবং সঞ্জয়কে ফোন করে ডাকেন দেখা করার জন্য। এমনকি তাদের মোটা টাকা দিয়ে কানাডায় সেটল করার টোপও দেন তিনি।তার ধারনা ছিল যে এতে ওই অঞ্চলের দুই গ্যাং এর মধ্যে অন্তর্বর্তী লড়াই মিটবে। এদের দুজনকেই একসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতেন রাজেশ । তাই কোথাও বিশ্বাসের জায়গা থেকেই সেদিন মধ্যরাতে অস্ত্র নিয়ে দিল্লি আসার পরিকল্পনা করেছিল রাজবীর এবং সঞ্জয়। পরিকল্পনা ছিল যে ওই অস্ত্রগুলো দিয়েই টার্গেট করা ব্যক্তিদের বাড়িতে বা অফিসে গিয়ে তারা ভয় দেখাবেন । কিন্তু তার আগেই রাজেশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দুজনই এখন হেফাজতে।
আরও পড়ুন
চাঁদে মনুষ্যহীন মহাকাশযান পাঠাল নাসা, এই অভূতপূর্ব অভিযানের নাম দিলেন তারা আর্টেমিস প্রকল্প
ফাইভ জির যুগে পনেরো হাজারে কোন কোন ফাইভ জি ফোন পাবেন জানুন এই প্রতিবেদনে
গুজরাটে ভোট প্রচারে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার তীব্র সমালোচনা, মোদী বললেন- 'আমি নিছকই একজন ভৃত্য'