মোবাইল, ঘড়ি, টাকার মত জিনিসগুলি থেকেও মারণ করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। আর এগুনিকে জীবাণুমুক্ত করতে হলে হাত লাগাতেই হবে। ফলে কিছুটা হলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাস কোথা থেকে কীভাবে ছড়াবে তা নিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন খাচ্ছেন গবেষকরা। এর মধ্যেই কিছুটা আশার আবো দেখা দেশের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) হায়দরাবাদ শাখা। তাঁরা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলল যেখানে কোনও রকম স্পর্শ ছাড়াই স্যানিটারাইজ করা যাবে ঘড়ি, মোবাইল এবং টাকার মত সামগ্রীগুলি।
অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে ডিআরডিও-র তৈরি যন্ত্রটিতে জীবাণ মুক্ত করা হচ্ছে সমস্তকিছুকে। এই যন্ত্রটির ভিতরে কোনও বস্তু দেওয়ার সম. বা সেটিকে বার করে নেওয়ার সময়ও পাল্লা খুলতে হবে না। কারণ, নতুন এই যন্ত্রটির কাছে গেলেই এর ড্রয়ারের মতো অংশটি নিজে থেকে খুলে যাবে। ফলে দীবানু সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না।
করোনার হদিশ পেতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে পুল টেস্টিং-এর, জেনে নিন কীভাবে হয় এখানে নমুনা পরীক্ষা
দেশে ৭০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩,৬০৪ জন
লকডাউন তোলার একমাস কাটতে না কাটতেই বিপত্তি, ফের করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ উহানে
ডিআরডিও-র তরফে যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ আল্ট্রাভায়লেট স্যানিটাইজার। এর ভিতর মোবাইল, টাকা, কোনও কাগজপত্র ইত্যাদি দিয়ে দিলে সেটি নিজে থেকে চালু হয়ে যায়। আর ভিতরে জিনিসটির উপর সব দিক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি পড়ে। ফলে যন্ত্রের বাইরের অংশে হাত না দিয়েই যে কোনও জিনিস জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া সম্ভব।
যন্ত্রটির স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়ে গেলে সেটি নিজে থেকেই স্লিপ মোডে চলে যাবে দাবি করা হয়েছে ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে।
তবে ডিআরডিও-র বানানো আল্ট্রাভায়লেট স্যানিটাইজারের পাশআশি করোনা যুদ্ধে লড়ার জন্য আরও একটি যন্ত্র হয়েছে ভারতের কাছে। যার নাম 'অতুল্য'। অতুল্য' একটি মাইক্রোওয়েভ স্টেরিলাইজার। যার তাপে নষ্ট হচ্ছে করোনা ভাইরাসের আরএনএ। যেকোনও বস্তুর গায়ে যদি করোনা ভাইরাসের চিহ্নটুকুও থাকে, তবে 'অতুল্য' তা লোপ করতে প্রস্তুত।
'মাইক্রোওয়েভ স্টেরিলাইজার' অতুল্য দিয়েই ধ্বংস করা হচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন দেশের প্র্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানীরা। এবার সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে 'অতুল্য'কে ব্যবহার করতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। 'অতুল্য' তৈরির পুরো কৃতিত্ব ডিফেন্স ইন্সটিটিউট অব অ্যাডভানসড টেকনোলজির। পুণের এই সংস্থাটি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও'র আওতায় পড়ে।