পাহাড় চূড়ায় বরফ ঢাকা শিব মন্দির মন জয় করল নেটিজেনদের, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল মন্দির বিতর্কে

ড্রোনের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিডিও ফুটেজটি বরফে ঢাকা শিবমন্দিরের। যা মন জয় করে নিয়েছে নেটিজেনদের। নরওয়ের কূটনীতিক এরিস সোলহেম ভিডিও ফুটেজটি সোশ্যাস মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন।

Saborni Mitra | Published : Oct 3, 2022 4:36 PM IST

ড্রোনের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিডিও ফুটেজটি বরফে ঢাকা শিবমন্দিরের। যা মন জয় করে নিয়েছে নেটিজেনদের। নরওয়ের কূটনীতিক এরিস সোলহেম ভিডিও ফুটেজটি সোশ্যাস মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। পোস্টের সময় তিনি লিখেছেন, 'অবিশ্বাস্য ভারতের মন্ত্রমুদ্ধ সৌন্দর্যে' বিস্মিত হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই পোস্টটি ৭২০০০০-র বেশি গ্রাহক দেখেছেন। লাকই করেছেন ৫০ হাজার মানুষ। 

নরওয়ের কূটনীতিক এরিক সোলহেম জানিয়েছেন, অবিশ্বাস্য ভারত! বিশ্বের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্থিতি একটি শিবমন্দির। এটি ৫০০০ বছর পুরনো বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

আপনিও দেখুন ভিডিওটিঃ

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে গোটা মন্দির প্রায় বরফে ঢাকা পড়েছে। চারদিকে পড়ে রয়েছে বরফ। মাঝখানে অবস্থিত শিব মন্দির। মন্দিরের ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ঘুরে ভিডিওটি শ্যুট করা হয়েছে। কেদারনাথ ছবির নমো নমো গানের অডিও ব্যাবহার করা হয়েছে ভিডিও ফুটেজে। 

এই পোস্টটি দেখে রীতিমত আপ্লুত নেটিজেনরা। তাঁরা মন্দির আর প্রকৃতির সৌন্দর্যে আল্পুত। তবে অনেকেই বলেছেন কূটনীতিকের ক্যাপশান  কিছুটা হলে বিভ্রান্তিকর। কিন্তু ভিডিওটি দুর্দান্ত। 

এক নেটিজেন বলেছেন, এটি আশ্চর্যজনক যে মন্দিরের স্থাপত্যটি চমৎকার এটি তুষারপাত এমনকি ভূমিকম্প থেকেও বেঁচে গেছে। তুঙ্গনাথ মহাদেব মন্দির, পঞ্চ কেদারের মধ্যে একটি। মন্দিরে যাওয়ার পথটি অসাধারণ। একটু উপরে চন্দ্রশীলা যেখান থেকে হিমালয় পর্বতশৃঙ্গের ২৭০ ডিগ্রি প্রশস্ত দৃশ্য দেখা যায়। এটাই অবিশ্বাস্য ভারত বলে উল্লেখ করেছেন এক নেটিজেন। 

অপর এক নেটিজেন বলেছেন, এটি সর্বোচ্চ নয়। আর এই মন্দিরের কাঠামো কখনই ৫০০ বছরের পুরনো নয়। তবে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই মন্দির কিন্তু খুব সুন্দর। তিনি আরও বলেছেন এই ভুল বিশ্লেষণের কোনও প্রয়োজন নেই। মন্দিরটি ৫০০ বছর পুরনো এটা কোনও নেটিজেনই মানতে চান না। বর্তমান মন্দিরটি আদি শঙ্করাচার্যের সময়ে খ্রিস্টীয় 8ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। বন্যা এবং তুষারপাতের শিকার ভূখণ্ডের কারণে কোনো পূর্ববর্তী প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া কঠিন হবে। 

Share this article
click me!