শ্রীনগর সেনার ১৫ কর্পসের সদর দফতরের পাশে ইন্দিরা নগরে বাড়ি দেবেন্দ্র সিংহের। নিজের সেই বাড়িতেই তিনি ঠাঁই দিয়েছিলেন জঙ্গিদের, জানা গিয়েছে এমনটাই। আর জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য তিনি নিয়েছিলেন ১২ লক্ষ টাকা। সরষের মধ্যেই যে লুকিয়ে রয়েছে 'ভূত' তার আঁচ পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ডিএসপি-র ফোনে সন্দেহজনক এক ফোন কলের সূত্র ধরেই চলছিল ডিএসপি দেবেন্দ্র সিং-এর উপর নজরদারি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জম্মুতে ঢোকার আগে জওহর ট্যানেলের ভিতরে চারজন জঙ্গি-সহ একই গাড়িতে পাওয়া যায় জম্মু-কাশ্মীরের এই সনামধম্য ডিএসপি-কে।
আরও পড়ুন- তাইকন্ডোতে মুন্সিয়ানা, বিশ্বরেকর্ড গড়ল হায়দরাবাদের ৫ বছরের খুদে
এর পর থেকে চলতে থাকে একের পর এক জেরা। জঙ্গিদের যে তিনি নিজের বাড়িতেই ঠাঁই দিয়েছিলেন প্রশ্নের চাপে সে কথা নিজের মুখে স্বীকার করে নেন তিনি। নিজের দায়িত্বে সেই জঙ্গিদের তিনি দিল্লিতে পৌঁছতে যাচ্ছিলেন, একথাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি এই কথাও স্বীকার করেছেন, এই কাজের জন্য তিনি ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। শুধু এই ঘটনাই নয় ২০০১ সালে সংসদ হামলাতেও জড়িত ছিল এই দেবেন্দ্র সিং-এর নাম। গোয়েন্দারা এই বিষয়ের প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে এর যোগাযোগ বহু পুরনো।
আরও পড়ুন- ফিক্সড ডিপোজিট- এ সুদের হার কমালো এসবিআই, গ্রাহকদের জন্য ফের ধাক্কা
এইজি বিজয় কুমার এই বিষয়ে জানিয়েছেন, জঙ্গিদের নিরাপদে ওপার থেকে জম্মুতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি জঙ্গি পিছু ১২ লক্ষ টাকা করে নিতেন দেবেন্দ্র। ধৃত জঙ্গীদের মধ্যে রয়েছে নাভেদ বাবা। যিনি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রাক্তন কর্মী। যার উপর রয়েছে ১১জন শ্রমীক হত্যার দায়। ছিল আইনজীবি ইরফান শফি মির, যিনি ইতিমধ্যে ৫ বার পাকিস্তান যাতায়াত করেছেন। তবে দেবেন্দ্র সিং জঙ্গিদের কেন দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রজাতন্ত্র দিবসে কোন নাষকতার ছক এদের ছিল কি না, সেই বিষয়েও তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।