অশান্তি ছড়ানোর জন্য কিছু গ্রুপ সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল। মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশেই এই ধরনের কার্যকলাপ করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবারও ভুয়ো খবরের রমরমা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ফের একবার বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানোর চেষ্টা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ঘুরছে একটি খবর। কোল্লামে সেনা জওয়ানকে মারধর করে পিঠে লিখে দেওয়া হয়েছে পিএফআইয়ের নাম। পরে জানা যায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য কিছু গ্রুপ সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল। মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশেই এই ধরনের কার্যকলাপ করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আমরা সেই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করলাম। যে কোনও খবরের সোর্স যাচাই করে নিন। খবরে থাকুন, ভুয়ো খবরে নয়।
এদিন কাদাক্কলে রহস্যজনকভাবে এক সৈন্যকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তাঁর শার্ট ছিড়ে শরীরে নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআইয়ের নাম লেখা হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। কাদাক্কলের বাসিন্দা শাইন কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর পরিচিত ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেনাবাহিনীও ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শাইন কুমার অভিযোগ করেছিলেন, গতকাল রাত ১১টায় হামলার ঘটনা ঘটে।
শাইন জানান, ওনাম উদযাপনে যোগ দিয়ে বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে হামলা হয় তার উপর। মুকাদা ছানাপাড়া সড়কের পাশে রাবার বাগানে পৌঁছালে দুই ব্যক্তি তাকে থামিয়ে বলে যে তার বন্ধু মদ্যপ অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তিনি দেখতে গেলে তাদের একজন তাকে পিছন থেকে লাথি মারেন। তাঁর হাত ও মুখ প্যাকিং টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল এবং টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। পিএফআই-এর নাম তাঁর পিঠে সবুজ রং দিয়ে লেখা হয়ছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। হামলার পর ছয় সদস্যের দল পালিয়ে যায় বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, শুধু খবর নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পরে একাধিক ভুয়ো ছবি ও ভিডিও। মূলত অশান্তি সৃষ্টির জন্যই এই মিথ্যে খবর রটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ওই জওয়ানের বন্ধুদের দাবি খ্যতিলাভের জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি।