শুধুমাত্র বিমান নয়, স্বয়ং জাস্টিন ট্রুডোর আচরণ দেখেও মনে হচ্ছিল যে, তিনি অবস্থায় স্বাভাবিক নেই। তাঁকে ’ছোট শিশু'-র মতো মনে হচ্ছিল।
দেশের অন্দরে তিনি বিভিন্ন মাদকপাচারকারীদের আড়াল করেন বলে আগেই খবর প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা, তাঁর ছত্রছায়ায় ভারত-বিরোধী খালিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে বিভিন্ন নাশকতা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক, সেই অভিযোগকে সমর্থন করেছিলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি-ও। সেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সম্পর্কে এবার আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় কূটনীতিক, দীপক ভোহরা।
একটি নিউজ চ্যানেলে বক্তৃতা করার সময় দীপক ভোহরা জানিয়েছেন, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit 2023) যোগ দেওয়ার জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যখন নয়াদিল্লিতে এসে নেমেছিলেন , তখন দেখা গিয়েছিল যে, তাঁর বিমানটি সম্পূর্ণ মাদক দ্রব্য কোকেন-এ (Cocaine) ঠাসা। ভারতীয় বাহিনীর পোষা স্নিফার কুকুররা ওই বিপুল পরিমাণ কোকেন-এর খোঁজ পেয়েছিল বলে দাবি করেন দীপক। শুধুমাত্র বিমান নয়, স্বয়ং জাস্টিন ট্রুডোর আচরণ দেখেও মনে হচ্ছিল যে, তিনি অবস্থায় স্বাভাবিক নেই। দীপক বলেছেন যে, তিনি নিজেকে ‘কানাডিয়ান র্যাম্বো’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছিলেন এবং তাঁকে ’ছোট শিশু'-র মতো মনে হচ্ছিল।
কূটনীতিক দীপক ভোহরা জানিয়েছেন, দিল্লিতে অবতরণের সময় জাস্টিনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-ও ছিলেন এবং তিনিও ট্রুডো-র অশান্ত অবস্থা বুঝতে পারছিলেন। যদিও, দীপক ভোহরা এর আগেও প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক নেতাদের সম্পর্কে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সুদানে রাষ্ট্রদূত হিসাবে তিনি একটি ‘আর্থিক লেনদেন’ সংক্রান্ত মামলায় এখনও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)-এর নজরে রয়েছেন এবং চিন দেশের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে ‘পিং পং টিং লিং টিং লিং’ বলে কটূক্তি করেছিলেন। তা সত্ত্বেও একথা অবশ্যই উল্লেখ্য যে, কানাডায় বেআইনি মাদকদ্রব্যের প্রসার সারা বিশ্বের কাছে অজানা নয় এবং এই দেশের প্রায় ২-৩ শতাংশ নাগরিক কোকেনের আসক্তিতে পরিপূর্ণ।