আবারও কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার তাঁর নিশানা কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে রয়েছে দিল্লি পুলিশও। দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি মামালায় দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, সাধারণতন্ত্র দিবসেব দিনে কৃষকরা যদি রাজধানীর রাজপথে ট্র্যাক্টর নিয়ে প্যারেড করে তবে তা যথেষ্ট অস্বস্তিকর হবে দেশের কাছে। আর তাই নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দিতে বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আন্দোলনকারী ৬০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তা বিব্রত করেনি মোদী সরকারকে। কিন্তু কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল মোদী সরকারকে বিব্রত করবে। প্রবল ঠান্ডায় দিল্লির উপকণ্ঠে গত ৫০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। প্রবল ঠান্ডায় ও দুর্ঘটনায় অনেক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। অনেক আন্দোলনকারী আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু আন্দোলনকারী অন্নদাতাদের দাবি নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করা না হলে তাঁরা আবস্থান থেকে সরবেন না।
কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আটদফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। অবশেষে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন তিনটি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি একটি কমিটি গঠনেও সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কৃষকদের ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের সময় ট্র্যাক্টর মিছিল না করারও একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল 'অস্বস্তি' বাড়াবে দেশের, দিল্লির পুলিশের আবেদনে কী বলল সুপ্রিম কোর
ভারত সরকারের জন্যে কোভিশিল্ডের 'বিশেষ দাম', বেসরকারি বাজারের দামও জানালেন সেরাম কর্তা .
নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সবর হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একই সঙ্গে কৃষকদের আন্দোলোনের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। প্রথম দিকে পঞ্জাবের একটি কৃষক মিছিলেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধীর কথায় মোদী সরকারের আনা নতুন তিনটি কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী। একটি কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করবে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আর কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হয়ে তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ।